২৫ মার্চের গণহত্যা বিশ্বের অন্যতম নৃশংস গণহত্যা

গণহত্যা দিবসের আলোচনা
গণহত্যা দিবসের আলোচনা

পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে সংঘটিত গণহত্যা বিশ্বের নৃশংস ও নারকীয় গণহত্যার মধ্যে অন্যতম। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের সঙ্গে গণহত্যা দিবস পালন করেছে। গত রোববার (২৫ মার্চ) দিনটি স্মরণে রাজধানী হ্যানয়ে চ্যান্সারি ভবনে বিশেষ প্রার্থনা, এক মিনিট নীরবতা পালন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বিশেষ আলোচনা সভা ও একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হত্যা করা হয় হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে। সেই রাত থেকে পরবর্তী নয় মাস বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলশামস ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা সারা দেশে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালায়। হত্যা করা হয় ৩০ লাখ মানুষকে। সম্ভ্রমহানি করা হয় ২ লাখ মা-বোনের। লাখ লাখ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয় প্রায় এক কোটি মানুষকে।

এক মিনিট নীরবতা
এক মিনিট নীরবতা

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে ২৫ মার্চের কালরাতে গণহত্যার শিকার শহীদদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভর স্মরণ করেন। তিনি বলেন, কালরাত ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের মাধ্যম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য বাংলাদেশ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তিনি ২৫ মার্চের গণহত্যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরেন এবং ইতিহাসের বর্বরতম এ দিনটিতে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর সশস্ত্র আক্রমণের নিন্দা জানান।
এ দিনটি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে সচেতন ও শোক থেকে শক্তিতে পরিণত করার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে সামিনা নাজ বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আমাদের সবাইকে নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
শেষে গণহত্যার ওপর একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশি ও স্থানীয় কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি