গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে

গণহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
গণহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

ইতিহাস ও মানবতার দাবি মেটাতে পাকিস্তানকে একদিন না একদিন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত নারকীয় গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। পাকিস্তানের করাচিতে গণহত্যা দিবস পালনকালে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন, করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তারাই একদিন পাকিস্তানকে এ গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য করবে।

গণহত্যা দিবসের আলোচনায় বক্তব্য দেন নুরে হেলাল সাইফুর রহমান
গণহত্যা দিবসের আলোচনায় বক্তব্য দেন নুরে হেলাল সাইফুর রহমান

গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গত রোববার (২৫ মার্চ) করাচির বাংলাদেশ উপহাইকমিশন আয়োজিত আলোচনা সভা শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে উপহাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত এবং মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নিহত সব মানুষের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পড়ে শোনানো হয়।
মূল আলোচনায় অংশ নিয়ে গণহত্যা বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশন ও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামতের ওপর আলোকপাত করে নুরে হেলাল সাইফুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে গণহত্যার বিভিন্ন পর্যায় ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, এ সময়ে বাংলাদেশে বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য একটি গণহত্যা সংগঠিত হয়। পাকিস্তানি শাসকেরা তাদের অপরাধ অব্যাহতভাবে অস্বীকার করে আসলেও একদিন না একদিন বিশ্ববাসী তাদের এ জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য করবে। বিজ্ঞপ্তি