রিয়াদে স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেক কাটার দৃশ্য
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেক কাটার দৃশ্য

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক সংবর্ধনা। গত মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রিয়াদের গভর্নরের উপদেষ্টা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ডিফেন্স অ্যাটাশে, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি, সৌদি আরবের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অতিথিরা
অতিথিরা

অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ও মিশন উপ-প্রধান ড. নজরুল ইসলাম অতিথিদের স্বাগত জানান। তারা প্রধান অতিথিকে নিয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেক কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
গোলাম মসীহ আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণের প্রথম ধাপ অতিক্রম এবং উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই স্বীকৃতি এবার স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনে আনন্দের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত নয় বছরে এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গোলাম মসীহ
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গোলাম মসীহ

রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নের অংশীদার হতে পারে। বাংলাদেশের ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে সৌদি আরবের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের সহধর্মিণীরা
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের সহধর্মিণীরা

গোলাম মসীহ বলেন, বিগত ৪৭ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ এখন শীর্ষস্থানীয় সৈন্য প্রেরণের দেশ যা বিশ্বজুড়ে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিদেশিদের কাছে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশের জামদানি ও নকশিকাঁথাসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী করা হয়। নৈশভোজের পাশাপাশি দেশীয় নানা ধরনের পিঠা দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
আয়োজনে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি