অটোয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে কেক কাটার দৃশ্য
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে কেক কাটার দৃশ্য

উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন মহান স্বাধীনতার ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সোমবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর ঐতিহ্যবাহী ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও লা ফাঙ্কোফোনিবিষয়ক মন্ত্রী মারি ক্লদ বিবো।

অনুষ্ঠানে মারি ক্লদ বিবো তাঁর বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ ও বাল্যবিবাহ রোধে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ কানাডার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক পার্টনার। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে সকল উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ কানাডাকে পাশে পাবে। তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের স্মৃতিচারণ করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সামগ্রিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানান এবং এ ব্যাপারে কানাডা সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে মারি ক্লদ বিবো বক্তব্য দেন
অনুষ্ঠানে মারি ক্লদ বিবো বক্তব্য দেন

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সফল অগ্রযাত্রার গৌরবগাথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-কানাডা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সময় পরিক্রমায় দ্রুত অগ্রসরমাণ। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বর্তমানে ২.৪ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। হাইকমিশনার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশ কানাডা সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতির ব্যাপারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি কানাডায় বসবাসকারী বাংলাদেশি, যাঁরা দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে কানাডার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন, তাঁদের প্রশংসা করে এ দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করার ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
বক্তব্যের পর মারি ক্লদ বিবো, বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও তাঁর সহধর্মিণী নিশাত রহমান বাংলাদেশ-কানাডা দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক কামনা করে টোস্ট করেন। এরপর তাঁরা একত্রে কেক কাটেন।

আমন্ত্রিত অতিথিদের একাংশ
আমন্ত্রিত অতিথিদের একাংশ

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে কানাডার সংসদ সদস্য ও সিনেটর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, আওয়ামী লীগের কানাডা শাখার নেতা, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, নেতৃস্থানীয় কানাডীয় সমাজকর্মী, শিল্পী-সাহিত্যিক, বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সরকারি চাকরিজীবী ও উদ্যোক্তাসহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট কানাডীয় নাগরিকেরা যোগ দেন। বিজ্ঞপ্তি