টরন্টোয় ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন
আত্মপ্রকাশ করেই চমকে দিল টরন্টোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। টরন্টোর বাঙালি কমিউনিটিতে সক্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এই প্রথমবারের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করেছে। টরন্টোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ এই আয়োজন কমিউনিটিতে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বার্চমাউন্ট রোডের গ্র্যান্ডপ্যালেস কনভেনশন সেন্টারে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ বানিয়ে সেখানে সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি সম্মান জানান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে টরন্টোর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তারা তাদের বক্তব্যে সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন পরিচালনা ও জাতীয় দিবসগুলো উদ্যাপনের অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন কবি আসাদ চৌধুরী।
টরন্টোর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় কবিতা, গান ও নাচের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আবহ চিত্র তুলে ধরা হয় প্রবাসী দর্শক শ্রোতাদের সামনে। উপস্থিত সকলের সম্মিলিত কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত দিয়ে সমাপ্ত হয় অনুষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, ঐক্যবদ্ধ আয়োজনকে উৎসাহ দিতে কমিউনিটির বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী শামীম চৌধুরী তাঁর মালিকানাধীন গ্র্যান্ডপ্যালেস কনভেনশন সেন্টারের বিরাট হলরুমটি বিনা ভাড়ায় সাংস্কৃতিক জোটকে অনুষ্ঠান করতে দেন।
সোহেল সোহরাব: টরন্টো, কানাডা।