টোকিওতে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ নিয়ে সেমিনার

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাবাব ফাতিমা
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাবাব ফাতিমা

জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৩০ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সমস্যা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে বিশদ ও প্রাণবন্ত আলোচনা হয়।

প্যানেল আলোচকেরা
প্যানেল আলোচকেরা

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জাপানের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম কর্মী, জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, প্রবাসী নেতা ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও সঠিক নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পদার্পণ করল। বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, নানারকম উন্নয়নসূচকে বাংলাদেশ আজ অগ্রগামী। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবে। তিনি জাপানি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

আলোচনা করেন জাইকার মহাপরিচালক কিচিরো নাকাজাওয়া, জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের (এমএলআইটি) পরিচালক আন্দো তোশিআকি ও জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) সিনিয়র পরিচালক তাকাশি সুজুকি। আলোচনার আগে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাইকার প্রেসিডেন্ট প্রদত্ত বাণীর ভিডিও দেখানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

জাপানি আলোচকেরা বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তাঁরা বাংলাদেশে বর্তমানে স্থিতিশীল অর্থনীতি বিদ্যমান এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ গন্তব্য। জাইকার মহাপরিচালক কিচিরো নাকাজাওয়া বলেন, নারী ক্ষমতায়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অনুকূল ব্যবসার পরিবেশ থাকায় বাংলাদেশের আজ এই অর্জন। তাকাশি সুজুকি বলেন, বাংলাদেশে দিনে দিনে জাপানি কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে এবং বাংলাদেশে জেট্রো অধিক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
পরে রাষ্ট্রদূতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাপান ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক প্রতিনিধিরা। তারা বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে আরও উন্নত-আরও গতিশীল। বিজ্ঞপ্তি