টোকিওতে বাংলাদেশিদের সাকুরা উৎসব

উৎসবের একটি দৃশ্য
উৎসবের একটি দৃশ্য

জাপানের রাজধানী টোকিওতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত আসুকাইয়ামা উদ্যানে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাকুরা উৎসব। বছরের ঠিক এ সময়টায় বৃহত্তর টোকিওর কানতো অঞ্চলের গাছগুলো সব গোলাপি রং ধরে। থোকায় থোকায় শুধু চেরি ফুল, গাছে পাতার অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া ভার। গত রোববার (১ এপ্রিল) উৎসবের আয়োজন করা হয়।

উৎসবের একটি দৃশ্য
উৎসবের একটি দৃশ্য

রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে সামাজিক সংগঠন কন্যা-জায়া-জননী আয়োজিত সাকুরা উৎসবটিতে টোকিও ও আশপাশ শহরে বসবাসরত কয়েক শ বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। দুপুরের আগে থেকেই মানুষের ভিড় জমতে থাকে। পার্কিংয়ে গাড়ির ঠাঁই নেই। আশপাশের কোনো কয়েন পার্কিংয়েও নেই। পার্কিং পাওয়ার আশায় রাস্তাতেও গাড়ির ভিড় জমে যায়।

উৎসবের একটি দৃশ্য
উৎসবের একটি দৃশ্য

চেরি বা সাকুরা গাছের নিচে সকলে বিশেষ করে ভাবিরা ইচ্ছেমতো ফটোশুট করেন হরেক রঙের শাড়ি-চুড়ি ও মাথায় সাকুরা ফুল লাগিয়ে। ছোটদেরও আনন্দের কোনো কমতি ছিল না। মেয়েরাও মায়েদের থেকে পিছিয়ে ছিল না, মাথায় ফুল লাগিয়ে নানা রঙে ঢঙে ছবি তোলে।

উৎসবের একটি দৃশ্য
উৎসবের একটি দৃশ্য

গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির কারণে সাকুরা পার্টি করাটা মুশকিল ছিল। এ বছর যেমন আবহাওয়া খুব সুন্দর ছিল তেমনি গাছ ভরা ছিল সাকুরা। সারা জাপানে বাঙালিরা এই বছর সাকুরা উৎসব দলে দলে উপভোগ করেন।
পার্কের এক অংশে বসে বাংলা গান নিয়ে মেতে ওঠেন উত্তরণ কালচারাল গ্রুপের সদস্যরা। একের পর এক তাদের পরিবেশিত গান উপস্থিত প্রবাসীদের আনন্দ দেয়।

উৎসবের একটি দৃশ্য
উৎসবের একটি দৃশ্য

সর্বস্তরের প্রবাসীরা দিনভর চমৎকার আয়োজনটি উপভোগ করেন। দুপুরে বিরিয়ানির প্যাকেট ছাড়াও ছিল বিকেলের চটপটি, সমুচা, মিষ্টি ও আপেলের নাশতা।
নানান আয়োজনের শেষে সন্ধ্যার হিমেল হাওয়ায় মানুষ ঘরমুখী হতে শুরু করেন। লিপিকা চৌধুরী ও জালাল-জাবেদ দম্পতি গত ছয় বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এই বিশাল আয়োজনকে সার্থক করে তুলেছে।

নদী সিনা: জাপানপ্রবাসী।