চীনে পিস ব্লোসম কালচার ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ

ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

চীনের নতুন বছরের বসন্তের আগমন উপলক্ষে চায়না থ্রি গর্জেস ইউনিভার্সিটিতে সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে পিস ব্লোসম কালচার ফেস্টিভ্যাল। পিস ফুলের নাম অনুসারে এই ফেস্টিভ্যাল পালন করে চাইনিজরা। এই ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০টি দেশের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, ইরান, ইরাক, জর্ডান, নেপাল, ভুটান, মরক্কো, জাম্বিয়া, মাদাগাস্কার ও ঘানা প্রভৃতি। এ সব দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।

ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উদ্‌যাপিত হয় পিস ব্লসম ফেস্টিভ্যাল। ট্যালেন্ট শোয়ে (সাংস্কৃতিক পর্ব) শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতিকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। ট্যালেন্ট শোয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উপস্থাপন করা সংগীত দ্বিতীয় আর ফ্যাশন শো তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা


বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখে অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক মুগ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া প্রত্যেক দেশের জন্য একটি করে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা প্রতিটা স্টলে নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি উপস্থাপন করেন।
চীনের স্থানীয় কিছু জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও এতে পরিবেশন করা হয়। এর মধ্যে চীনের প্রথাগতভাবে ড্রাগন নাচের পরিবেশনা উল্লেখযোগ্য। এই নাচ সমৃদ্ধি আনে বলে চীনাদের বিশ্বাস।

চীনের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা
চীনের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা

এই ফেস্টিভ্যালের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময় হয় এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের মাঝে। প্রতিটা দেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি আদান প্রদানে এ রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চায়না থ্রি গর্জেস ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানটি চীনের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া সরাসরি সম্প্রচার করে।

মোস্তাক আহাম্মেদ: মেডিকেল শিক্ষার্থী, থ্রি গরজেস বিশ্ববিদ্যালয়, হুবেই, ইচাং, চীন।