তেহরানে বাংলাদেশ উন্নয়ন সংলাপ

বাংলাদেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরছেন দূতালয় প্রধান
বাংলাদেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরছেন দূতালয় প্রধান

ইরানের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে তেহরানে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন, এনজিও, সুশীল সমাজ, তেহরান চেম্বার ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ: তাৎপর্য ও ভবিষ্যৎ কৌশল শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশ্নোত্তর পর্ব
প্রশ্নোত্তর পর্ব

সেমিনারে দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. হ‌ুমায়ূন কবির মূল প্রবন্ধ ও কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সবুর হোসেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অগ্রগতি তুলে ধরেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ, দারিদ্র্যের বর্তমান হার ও আমদানি-রপ্তানির পরিমাণসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাংলাদেশের তুলনায় বেশি ছিল, কিন্তু এখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সে দেশের তুলনায় দ্বিগুণে উন্নীত হয়েছে।
ইংরেজি দৈনিক ইরান ডেইলির সিনিয়র সম্পাদক ও স্বাধীন বাংলা বেতারের সাংবাদিক আয়াজ হুসাইন তাঁর বক্তব্যে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি ও তাঁর ইরানি স্ত্রী পাঁচ বছর পরপর বাংলাদেশে যেতেন। কয়েক মাস আগে তিনি ঢাকায় গিয়ে ফ্লাইওভার অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিদ্যুতের উৎপাদন ও ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তাঁর বিদেশি স্ত্রীর মতে এই জনবহুল দেশের আরও বেশি উন্নয়ন সম্ভব।

বাণিজ্যিক অগ্রগতি তুলে ধরছেন মো. সবুর হোসেন
বাণিজ্যিক অগ্রগতি তুলে ধরছেন মো. সবুর হোসেন

রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান ড. সোহেল আহমদ বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে প্রবাসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এতে করে আমাদের পাসপোর্টের মান বৃদ্ধি ও বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব দূর হবে।
মুক্ত আলোচনায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন দেশের অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।

মুমিত আল রশিদ: সহকারী অধ্যাপক, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে পিএইচডি গবেষক, তারবিয়্যাত মোদাররেস বিশ্ববিদ্যালয়, তেহরান, ইরান।