গ্রিসে রসনা কূটনীতি ও নতুন আঙ্গিকে বর্ষবরণ

রসনা কূটনীতি শীর্ষক সভা
রসনা কূটনীতি শীর্ষক সভা

গ্রিসে বাংলাদেশি খাবার জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রসনা কূটনীতি’। দূতাবাসের এ উদ্যোগ সফল করতে এগিয়ে এসেছেন গ্রিসপ্রবাসী বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। রসনা কূটনীতি সফল করতে রেস্টুরেন্টের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছে গ্রিসের বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।

এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) এথেন্সে ‘রসনা কূটনীতি: বিশ্ব জুড়ে বাংলাদেশি খাবার’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি-ইন-গ্রিসের সভাপতি হাজি মো. আবদুল কুদ্দুস।
রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে দূতাবাসের রসনা কূটনীতিকে সফল করতে এগিয়ে আসার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি সভা আয়োজনের জন্য এবিসি বাংলাদেশি-ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আল-আমিন শেখকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব পরিমণ্ডলে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশি খাবারকে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে দূতাবাসের রসনা কূটনীতির কার্যক্রমে অংশ নিয়ে দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত রাখায় তিনি প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান।

রসনা কূটনীতি শীর্ষক সভা
রসনা কূটনীতি শীর্ষক সভা

মো. জসীম উদ্দিন আরও বলেন, বিদেশের মাটিতে একেকটি বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট একেকটি দূতাবাস। একটি দূতাবাসে প্রতিদিন যে পরিমাণ বিদেশি আসেন, তার চেয়ে বেশি বিদেশি আসেন একটি রেস্টুরেন্টে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা রসনা কূটনীতির উদ্যোগের সঙ্গে এগিয়ে এলে একদিকে যেমন বাংলাদেশি খাবার জনপ্রিয় হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে উঠবে।
স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আয়োজক মো. আল-আমিন শেখ। তিনি বলেন, দূতাবাস রসনা কূটনীতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি তাঁর রেস্টুরেন্টের নামে বাংলাদেশ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তার রেস্টুরেন্টের বর্তমান নাম এবিসি বাংলাদেশি-ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট। তাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তিনি দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

সভায় রসনা কূটনীতির প্রেক্ষাপট, দূতাবাসের উদ্যোগ, প্রবাসীদের ভূমিকা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব সুজন দেব নাথ। এরপর আলোচনায় অংশ নেন গ্রিসের প্রবাসী বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, দূতাবাসের ডাকে সাড়া দিয়ে তারা একে একে রেস্টুরেন্টের নামে বাংলাদেশি নাম অন্তর্ভুক্ত করছেন। রেস্টুরেন্টের মেন্যুতে বাংলাদেশি খাবার ও সাজসজ্জায় বাংলাদেশি ঐতিহ্য ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। তারা আরও বলেন, দূতাবাসের প্রেরণায় তারা গ্রিসে বাংলাদেশি খাবারের ব্র্যান্ড তৈরি করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে নেমেছেন এবং গ্রিসের মাটিতে রসনা কূটনীতি সফল করতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

এরপর আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কমিউনিটি-ইন-গ্রিসের সভাপতি হাজি আবদুল কুদ্দুসসহ কমিউনিটির বর্তমান ও প্রাক্তন নেতা এবং বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা। আলোচনায় তারা রসনা কূটনীতি সফল করতে দূতাবাস ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা শেষে রসনা কূটনীতির অগ্রযাত্রা উপলক্ষে বিশেষ কেক কাটেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। রসনা কূটনীতির উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এবিসি বাংলাদেশি-ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বিশেষ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। সভা শেষে বাংলাদেশি খাবার উপভোগ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
উল্লেখ্য, এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২৬ অক্টোবর (২০১৭) ‘রসনা কূটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং: প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক এক কর্মশালা আয়োজন করে। দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় এথেন্সে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট মালিকেরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় বাংলাদেশি খাবার জনপ্রিয় করার জন্য রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে দূতাবাস থেকে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশি ব্যবসায়ী যারা অন্য দেশের নাম ব্যবহার করে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করছেন, তাদের রেস্টুরেন্টের নাম পরিবর্তন করে বাংলা/বাংলাদেশ নাম ব্যবহার করবেন। প্রতিটি বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টের মেন্যুতে দেশীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করবেন, রেস্টুরেন্টের সাজসজ্জায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে, বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট মালিকেরা বিভিন্ন খাদ্য মেলায় অংশগ্রহণ করবেন, সম্ভাব্য ক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশি অধ্যুষিত নয়, গ্রিক অধ্যুষিত অঞ্চলেও বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেবেন এবং বিদেশিদের বাংলাদেশি খাবারের সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ট্রিপ অ্যাডভাইজার), খাবার বিষয়ের পত্রিকা, ট্রাভেল ম্যাগাজিনে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট তথা বাংলাদেশি খাবারের প্রচারে ব্যবসায়ীরা সম্পৃক্ত হবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়। সেই সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রবাসী বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসেছেন এবং রসনা কূটনীতি সফল করে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি খাবার জনপ্রিয় করতে কাজ করছেন।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

শুধুমাত্র রাজধানী এথেন্সেই নয়, এথেন্সের বাইরে গ্রিসের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত দ্বীপাঞ্চলে এই কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। রসনা কূটনীতি নিয়ে বাংলাদেশের খাবার বিদেশে জনপ্রিয় করার প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিন অত্যন্ত আশাবাদী। তিনি এই কার্যক্রম সফল করার জন্য গ্রিসপ্রবাসী বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

গ্রিসে নতুন আঙ্গিকে বর্ষবরণ

প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান ব্যাপক আনন্দ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদ্‌যাপিত হয়েছে। ১৪ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলা বর্ষবরণের লক্ষ্যে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশি খাবার উৎসবের সঙ্গে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়। এ বছর গ্রিসে বাংলা বর্ষবরণের মূল আকর্ষণ ছিল-‘এক বাংলাদেশি এক গ্রিক’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের অনুরোধ করা হয় প্রত্যেকে যেন একজন করে গ্রিক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। গ্রিসে বাংলা সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে দূতাবাসের এই আয়োজনে সাড়া দিয়ে প্রবাসীরা গ্রিকদের সঙ্গে নিয়ে আসেন এবং পয়লা বৈশাখের সকালে অনেক বাংলাদেশির ও গ্রিক নাগরিকদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় দূতাবাস প্রাঙ্গণ। এথেন্স ও নিকটবর্তী শহরসমূহ থেকে আগত শত শত বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন ও তাঁর সহধর্মিণী শায়লা পারভীন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকাল ১১টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে গ্রিক নাগরিক ও বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে বর্ষবরণ মেলার উদ্বোধন করেন। এরপর দূতাবাসের প্রথম সচিব সুজন দেবনাথের সঞ্চালনায় গ্রিক শিল্পী ও বাংলাদেশি শিল্পীরা মিলিত ভাবে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশন করেন। তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বৈশাখকে স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত, তাঁর সহধর্মিণী, দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যরা। এ সময় ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং জেলা ও বিভাগ ভিত্তিক আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা। গ্রিক শিল্পীদের কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ সংগীত সবাইকে মুগ্ধ করে।
এরপর ‘বৈশাখী স্বাক্ষরলিপি’ উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত। এই স্বাক্ষরলিপিতে বর্ষবরণ সম্পর্কে মনের ভাব প্রকাশ করেন গ্রিক ও বাংলাদেশি নাগরিকেরা। বৈশাখ উপলক্ষে দূতাবাসে নির্মাণ করা হয় ‘গ্রিস বাংলা বৈশাখী বায়োস্কোপ’। বাংলাদেশি পরিবার, নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী, সর্বস্তরের বাংলাদেশি ও দূতাবাসের সদস্যরা মেলাতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুরা লোকজ ও বৈশাখী পোশাকে সজ্জিত ছিলেন।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) ড. সৈয়দা ফারহানা নূর চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সদস্য, স্থানীয় দোয়েল সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা বৈশাখী ও লোকজ সংগীত, কবিতা, নৃত্য ইত্যাদি পরিবেশন করেন। শিশু-কিশোরেরাও এতে অংশ নেয়। বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষের আগমনে কলকাকলিতে মুখরিত হয় দূতাবাস। সৃষ্টি হয় এক বর্ণিল মনোরম পরিবেশের। মেলায় আগমনকারীরা বিভিন্ন স্টলে বাংলাদেশি পণ্য দর্শন ও খাবারও আস্বাদন করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে দূতাবাসে তৈরি বৈশাখী স্বাক্ষরলিপিতে তাঁদের স্বাক্ষরসহ অনুভূতি ব্যক্ত করেন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি, গ্রামীণ বাংলার বৈশাখী আবহে স্টলসহ দূতাবাস প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ।
আয়োজন করা হয় বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা। বিপুল উৎসাহে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাদ্যযন্ত্র সহকারে এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এ ছাড়া দূতাবাসে একটি র‍্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত ও তাঁর পত্নী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রবাসী বাংলাদেশি যারা বৈশাখী মেলায় স্টল দিয়েছিলেন তাদের বিশেষ পুরস্কার প্রদান কর হয়। বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানসমূহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বয়ে আনে আনন্দ, বন্ধন, সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতি।
বর্ষবরণের দিনে দূতাবাস চত্বরে বৈশাখী মেলার পাশাপাশি আয়োজন করা হয় ‘উন্নয়ন মেলা’। এ উপলক্ষে দূতাবাসের হলরুমসহ দূতাবাস চত্বর বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র সংবলিত বর্ণিল পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে সজ্জিত করা হয়। এতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ সহ শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য যোগাযোগ, আইসিটি, টেলিকমিউনিকেশন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ পরিণত হওয়া, নারীর ক্ষমতায়ন, এমডিজিতে বাংলাদেশের সাফল্য, দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো আর্থসামাজিক উন্নয়নকে তুলে ধরা হয়। আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন, বহির্বিশ্বে বলিষ্ঠ উপস্থিতিসহ গতিশীল পররাষ্ট্রনীতিকেও উপস্থাপন করা হয় এই উন্নয়ন মেলায়। মেলায় দিনব্যাপী বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন মেলায় আগত গ্রিক ও বাংলাদেশি দর্শনার্থীদের বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে অবহিত করেন। দূতাবাসের প্রথম সচিব সুজন দেবনাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রবাসীদের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সক্রিয়ভাবে শামিল হতে আহ্বান জানান।
বর্ষবরণ উৎসব ও উন্নয়ন মেলা গ্রিস প্রবাসীদের মধ্যে বিপুল উদ্দীপনার সঞ্চার করেছে। বিজ্ঞপ্তি