হংকংয়ে বৈশাখী মেলা

বৈশাখী মেলায় হংকং বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের গান পরিবেশনা
বৈশাখী মেলায় হংকং বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের গান পরিবেশনা

সুদূর প্রবাসে খানিকটা রঙের ছিটেফোঁটা লাগুক সবার মনে। আনন্দের বাজনা বাজুক হৃদয়ের উঠোনে। এই আনন্দের বার্তা নিয়ে হংকংয়ে এ বছরও যথারীতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব হংকং আয়োজন করেছিল বৈশাখী মেলা।

অতিথি
অতিথি

আয়োজন শুরু হয় ছোট সোনামণিদের ‘এসো হে বৈশাখে এসো এসো’ গানের সূরে। এর মাধ্যমে আবারও জানান দিয়েছিল, সুদূর প্রবাসে থেকেও আমরা বাংলা সংস্কৃতি ভুলে যাইনি।

অতিথি
অতিথি

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হংকংয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল সারওয়ার মাহমুদ। তিনি বৈশাখের নতুন বছরের সূচনালগ্নে সবাইকে বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্যদের সঙ্গে কনসাল জেনারেল সারওয়ার মাহমুদ
অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্যদের সঙ্গে কনসাল জেনারেল সারওয়ার মাহমুদ

বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব হংকংয়ের সভাপতি এস এম তাসমিনুল হক (বিপু), সাধারণ সম্পাদক আশফাকুর রহমান (পলাশ)। আরও কয়েকজন বক্তব্য দেন। তারা অনুষ্ঠানকে প্রাণোচ্ছল করে তোলেন।
এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সকল কার্যকরী সদস্য, হংকংয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

মেলায় স্টল
মেলায় স্টল

অনুষ্ঠানে যেমন খুশি তেমন সাজো ইভেন্টে ছোট্ট রাহামণির লাল শাড়িতে লাগছিল অসাধারণ। আয়োজক সংগঠনসহ ইত্যাদি ফ্যাশন, পাটোয়ারি স্টোর, বাংলার মেলা নামের বৈশাখী স্টলগুলো ছিল মেলার মূল আকর্ষণ। দেশি খাবারে মৌ মৌ করছিল চারপাশ আর সবার বৈশাখী সাজ মেলাকে করেছিল আরও প্রাণবন্ত।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দর্শক
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দর্শক

অতীতের সবকিছু ভুলে এক বাংলাদেশের প্রতিটি বাঙালি এক প্রাণ হয়ে উঠুক। হংকংয়ের প্রবাসী সকল বাঙালিদের পক্ষ থেকে নতুন বছরের অভিবাদন ও শুভেচ্ছা।

নাঈম খান: হংকং।