মিলানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

মুজিবনগর দিবসের আলোচনায় বক্তব্য দেন রেজিনা আহমেদ
মুজিবনগর দিবসের আলোচনায় বক্তব্য দেন রেজিনা আহমেদ

ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় কনস্যুলেট হলরুমে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ গ্রহণকারী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভা এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সেই সরকারের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য, সকল কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম সুসংগঠিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। সরকার গঠন মুক্তিসংগ্রামে বিদেশি সমর্থন লাভে বিশেষ ভূমিকা রাখে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনে পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন।

উপস্থিতির একাংশ
উপস্থিতির একাংশ

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্পাতদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের দিকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি সম্মুখ যাত্রার এ আয়োজনে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান।
কোরআন ও গীতা থেকে পাঠের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মিলানে বসবাসরত বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাসহ সর্বস্তরের প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি