জাপানে বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন

অতিথিদের একাংশ
অতিথিদের একাংশ

মঙ্গল ও আনন্দের বারতা নিয়ে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ আসে বাঙালির জীবনে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নববর্ষ ছুঁয়ে যায় প্রবাসে অবস্থানকারী সকল বাংলাদেশি, এমনকি বিদেশিদেরও। জাপানও এর ব্যতিক্রম নয়। ১৪২৫ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গতকাল (২০ এপ্রিল) শুক্রবার জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ হাউসে বিদেশি বন্ধুদের সম্মানে নববর্ষ উদ্‌যাপন ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে।

মেহেদি রাঙানো
মেহেদি রাঙানো

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে ছিলেন জাপানের পার্লামেন্টের কয়েকজন সাংসদ, জাপানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, জাপান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়য়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সুধীজন। অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি তাঁদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন।

রাষ্ট্রদূত টিপ পরিয়ে দিচ্ছেন
রাষ্ট্রদূত টিপ পরিয়ে দিচ্ছেন

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনকে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাজে সাজিয়ে তোলা হয়। মনের মাধুরী মেশানো আলপনার রঙ্গে রাঙিয়ে দেওয়া হয় অতিথিদের আগমন ও অভ্যর্থনা স্থান। দূতাবাসের দেয়ালে দেয়ালে শোভা পায় আবহমান বাংলায় নববর্ষ উদ্‌যাপনের অনন্য উপাদান নানান রঙের মুখোশ। রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আনন্দঘন পরিবেশে এই সাজসজ্জায় অংশ নেন। এ ছাড়া মেহেদি রঙ্গে বিদেশি বন্ধুদের হাত রঙিন করার ব্যবস্থা ছিল। অনেক বিদেশি বন্ধু তাঁদের হাতে বাংলাদেশি মেহেদি দিয়ে আলপনা করিয়েছেন পরম আনন্দে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের নারী অতিথিদের চুরি ও টিপ পরিয়ে দেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কয়েকজন অতিথি
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কয়েকজন অতিথি

আগত অতিথিরা বাংলাদেশের আতিথেয়তা ও আকর্ষণীয় এই সাজে তাঁদের মুগ্ধতা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাঁদের চোখে ছিল আনন্দ আর তৃপ্তির ঝিলিক।

নকশিকাঁথার প্রদর্শনী
নকশিকাঁথার প্রদর্শনী

অনুষ্ঠানে বিদেশি বন্ধুদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী ও বাঙালিয়ানা খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বিভিন্ন রকমের খাবারের মধ্যে ছিল বাংলাদেশের ইলিশ, পোলাও, গরু ভুনা, জিলাপি, ক্ষীরমোহন, চমচম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশি খাবার
বাংলাদেশি খাবার

এ ছাড়া দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশের তৈরি নকশিকাঁথা ও অন্যান্য সামগ্রীর সমাহার নিয়ে একটি প্রদর্শনীও আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি