কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বাংলাদেশ সপ্তাহ'

কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ সপ্তাহ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত হয়। এতে বক্তৃতা করেন কিংস্টোন মিউনিসিপ্যালটির ডেপুটি মেয়র জিম নিল। ছবি: সংগৃহীত
কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ সপ্তাহ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত হয়। এতে বক্তৃতা করেন কিংস্টোন মিউনিসিপ্যালটির ডেপুটি মেয়র জিম নিল। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে ১৯ থেকে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সপ্তাহ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এতে অন্যান্য দেশের দেশের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

বাংলাদেশ স্মারক অনুষ্ঠানমালায়, বাংলার গল্প বলা ও মৌখিক ইতিহাস আলোচিত হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে তৌকির আহমেদ পরিচালিত প্রামাণ্যচিত্র ‘জয়যাত্রা’ প্রদর্শিত হয়। সপ্তাহান্তে মাতৃভাষা দিবস স্মরণে আলোচনা ও বিভিন্ন ভাষা-ভাষী ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে ঐতিহ্যমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ছাত্রছাত্রীবৃন্দ শামসুর রাহমানের কবিতা, রবীন্দ্র সংগীত ও বাউল গান পরিবেশন করেন। এ ছাড়া ইকুয়েডর, চিলি, নেপাল, জিম্বাবুয়ে ও চীনের ছাত্রছাত্রীরা নিজ নিজ ভাষায় কবিতা, গান ও যন্ত্রসঙ্গী পরিবেশন করেন।

কিংস্টোন মিউনিসিপ্যালটির ডেপুটি মেয়র জিম নিল নগরীর নীতিমালায় বহু সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তি ও চর্চার সহায়ক পরিবেশ গঠনে তাঁর দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে একটি জননন্দিত পোস্টার উপস্থাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট প্রফেসর গিল স্কর্ট বহু সংস্কৃতির ছাত্রছাত্রীদের বৈচিত্র্যময় উপস্থিতি ও অবর্ণবাদী পরিবেশ সংরক্ষণে কর্তৃপক্ষের অবস্থান তুলে ধরেন। প্রাধ্যক্ষ একাডেমিক দপ্তরের পরিচালক মিস হিথার কিনকেইড কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় বহুসাংস্কৃতিক অবস্থান সংরক্ষণে গৃহীত কার্যক্রম ও সক্রিয়তা উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থকে শাহরিয়ার জামান অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্রছাত্রীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থকে ছাত্রছাত্রী কর্তৃক বাংলাদেশ সপ্তাহ উদ্যাপনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও অলংকরণের জন্য গোলাম রব্বানী, তানজিয়া তাহরীন ও রেশমা পারভীনকে ধন্যবাদ জানানো হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নাজিফা চৌধুরী, আনিকা মজুমদার ও বাসমাহ্ রহমান। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।