রিয়াদে নাচে গানে বৈশাখ বরণ

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা

সৌদি আরবের রিয়াদে নাচ-গান ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রিয়াদের সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান শ্যাডো আয়োজিত ও বাংলাদেশ দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় গত শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দিনব্যাপী এ আয়োজন করা হয়। সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার বাংলাদেশি বর্ষবরণের এই আয়োজনে যোগ দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা

অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্যাডোর পক্ষ থেকে অতিথিদের গামছা পরিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ আলম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে লালন করে বর্ষবরণের যে আয়োজন করা হয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ। তিনি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী সৈয়দা গুলে আরজু। মেলায় দূতাবাসের কর্মকর্তা, তাঁদের পরিবারের সদস্যরাসহ কমিউনিটির সকল নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

রিয়াদের তোমামায় ইস্তেরাহা (কমিউনিটি সেন্টার) আল নাওয়াফিতে বর্ষবরণের আয়োজনে ছিল প্রায় ৩৫টি স্টল। এতে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের খাবার, জামদানি শাড়ি ও দেশীয় নানা পণ্যের প্রদর্শন করা হয়। মেলায় বাংলাদেশ বিমানের বৈশাখী ছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হয়।

শ্যাডোর পক্ষ থেকে অতিথিদের গামছা পরিয়ে দেওয়া হয়
শ্যাডোর পক্ষ থেকে অতিথিদের গামছা পরিয়ে দেওয়া হয়

বর্ষবরণের প্রথম পর্বে ছিল দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দূতাবাসের কাউন্সেলর ড. ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রথমে সমবেত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি পরিবেশন করা হয়। গান গেয়ে শোনায় নির্ঝর, আদৃত, স্বস্তি, লুবাবা ও শেমুষী। কবিতা আবৃত্তি করে নাবিহা, অন্বেষা, মাহির ও নির্ঝর। নৃত্য পরিবেশন করে শেমুষী, স্বস্তি ও নাবিহা। এ ছাড়া দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মো. সফিকুল ইসলাম ও মো. বশির শ্রাবণের মেঘগুলো ও যেখানে সীমান্ত তোমার গান পরিবেশন করেন। বৈশাখের কবিতা আবৃত্তি করেন দ্বিতীয় সচিব মো. ফখরুল ইসলাম।

দর্শক
দর্শক

প্রবাসী বাংলাদেশিরা নববর্ষের মেলায় এসে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন এবং আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতেও এ ধরনের আনন্দ আয়োজন অব্যাহত থাকবে। প্রবাসের নানা ব্যস্ততার মাঝে নববর্ষের এ আয়োজনের জন্য তারা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান শ্যাডো ও দূতাবাসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বিজ্ঞপ্তি