টরন্টোয় প্রবাসীদের সহায়তা করেছে কানাডিয়ান সেন্টার

সিসিআইকের প্রচারপত্র
সিসিআইকের প্রচারপত্র

আমান্দা থাকে টরন্টোর ক্রিসেন্ট টাউনে। পড়েন ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে। এখন ক্লাস নেই। তাঁর একটা চাকরি দরকার। ভালোভাবে রেজ্যুমি আর কাভার লেটারটা তৈরি হওয়ার পর লবলজে পার্ট টাইম চাকরি পেতে দেরি হয়নি আমান্দার।

অন্যদিকে তাহমিনার সমস্যাটা চাকরির নয়, পারিবারিক। ছোট একটা ভুলের কারণে সমস্যাটা হয়ে দাঁড়ায় অনেক বড়। চিলড্রেন এইড সোসাইটির লোকজন আসে বাসায়। দুশ্চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তাহমিনার। এখন সমস্যা অনেক কেটে গেছে। কারণ প্রতিকারের পথটা জানা হয়ে গেছে।
বাড়িওয়ালার সঙ্গে ছোটখাটো একটা ঝামেলায় জড়িয়ে গিয়েছিল কানাডায় নতুন ইমিগ্রান্ট হয়ে আসা সিদ্দিকের। বুঝতে পারছিলেন না কোথায় যেতে হবে। সমাধানটা কোথায়। এখন জানা হয়ে গেছে। তাঁর আর দুশ্চিন্তাও নেই।
আমান্দা, তাহমিনা আর সিদ্দিকের মতো প্রায় ১০০ জনকে তথ্য উপাত্ত আর পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছে কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ (সিসিআইকে)। এ বছরের জানুয়ারিতেই কানাডার ফেডারেল গভর্নমেন্টের অধীনে বেসরকারি সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত হয় সংগঠনটি। প্রতিষ্ঠার পর প্রথম চার মাসেই এই সেন্টার প্রায় এক শ লোককে সহায়তা করেছে। সেবা পাওয়াদের একজন তামান্না আকতার বলেন, আমি নবগঠিত এ সংগঠনটিকে মনেপ্রাণে ভালোবাসি। কারণ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করার মানসিকতা আমাকে ভীষণভাবে প্রলুব্ধ করেছে।
কানাডিয়ান সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম উদ্দিন বলেন, এ সংগঠনটি শুধু বাঙালিদের জন্য নয়। টরন্টোতে বসবাসরত আগ্রহী সব কমিউনিটির সদস্যদের সহায়তা দেবে। বর্তমানে এমপ্লয়মেন্ট, সেটেলমেন্ট, চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথ ও সিনিয়র সার্ভিসেস কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাঁচজনের একটা টিম স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে এ কাজে সহায়তা করছে। ইতিমধ্যে উডগ্রিন কমিউনিটি সার্ভিসেসের সঙ্গে পার্টনারশিপ হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে অনন্যা কমিউনিটি সংগঠনগুলোর সঙ্গেও আমরা পার্টনারশিপের ভিত্তিতে কমিউনিটিকে সহায়তা করার লক্ষ্যে কাজ করব।
উল্লেখ্য, চালু হওয়ার দুবা মাসের মধ্যে কানাডিয়ান সেন্টারের ফেসবুক গ্রুপ www.facebook.com/groups/CCIKTORONTO/ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে এতে প্রায় তিন হাজারের বেশি লোক এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। যাঁদের সবাই কানাডায় বসবাস করছেন। বিজ্ঞপ্তি