সিডনিতে লেখক উৎসব

সিডনি লেখক উৎসবে যোগ দেন জুলিয়া গিলার্ড। সংগৃহীত
সিডনি লেখক উৎসবে যোগ দেন জুলিয়া গিলার্ড। সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হয়ে গেল দেশটির সবচেয়ে বড় লেখকদের মিলনমেলা ‘সিডনি লেখক উৎসব ২০১৮’। গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত এ উৎসবের ২১তম আসর বসে স্টেট লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে। উৎসবে অস্ট্রেলিয়াসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা লেখক ও সাংবাদিকেরা অংশ নেন সাহিত্য ও শব্দের শক্তি উদ্‌যাপন করতে। নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্য সরকার ও অস্ট্রেলিয়া কাউন্সিল ফর দ্য আর্টসের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে প্রায় এক লাখেরও বেশি বইপ্রেমীদের সমাগম ঘটে।

সিডনি লেখক উৎসবে তারা ওয়েস্টওভার তাঁর জীবনী শোনান। সংগৃহীত
সিডনি লেখক উৎসবে তারা ওয়েস্টওভার তাঁর জীবনী শোনান। সংগৃহীত

প্রচলিত ধারাতেই তিনজন সফল লেখকের মাধ্যমে উদ্বোধন করা উৎসবের। তাঁরা হলেন ঔপন্যাসিক আন্দ্রে আকিমান, কোরীয়-আমেরিকান ঔপন্যাসিক মিন জিন লি ও ২০১৮ পেন ওপেন বুক অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত লেখক আলেক্সিস ওকোও। আন্দ্রে আকিমানের ‘কল মি বাই ইউর নেম’ উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত ও সমাদৃত হয়েছে।
উৎসবে প্রায় ৪৩৬ জন লেখক অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ২৭তম প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডও ছিলেন। উৎসবে শিশু-কিশোরদের জন্য একটি বিশেষ আয়োজন রাখা হয়। এ ছাড়া উৎসবে এনএসডব্লিউ প্রিমিয়ারস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয় বিভিন্ন বিষয়ের সেরা লেখকদের।

সিডনি লেখক উৎসবের লোগো
সিডনি লেখক উৎসবের লোগো

গোটা উৎসবটিই জমজমাট ছিল সাহিত্যপ্রেমীদের ভিড়ে। তবে বেশ কিছু পরিবেশনা নজর কারে সকলের। উৎসবের চতুর্থ দিন মরমন থেকে বেঁচে আসা বাবা মায়ের এক অশিক্ষিত মেয়ে তারা ওয়েস্টওভার তাঁর জীবনী শোনান সবাইকে। জীবনের শেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করা ওয়েস্টওভার কীভাবে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন, সে ঘটনা শোনান। তাঁর অনুপ্রেরণামূলক জীবন কাহিনি প্রায় সকলেরই প্রশংসা কুড়ায়।