পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় একই পরিবারের সাতজন খুন

পিটার মাইলস (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) তাঁর স্ত্রী সিন্ডা (পেছনে ডানে), তাঁদের মেয়ে ক্যাটরিনা (বাঁয়ে) এবং তার চার সন্তান টেই, রাইলান, আইরে ও কাডিন। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
পিটার মাইলস (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) তাঁর স্ত্রী সিন্ডা (পেছনে ডানে), তাঁদের মেয়ে ক্যাটরিনা (বাঁয়ে) এবং তার চার সন্তান টেই, রাইলান, আইরে ও কাডিন। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া রাজ্যে একসঙ্গে সাতজন খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত সকলে একই পরিবারের বলে নিশ্চিত করেছে রাজ্য পুলিশ। জরুরি সেবার কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের মৃতদেহ খুঁজে পায়। নিহত সকলকেই বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১১ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারটি রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মার্গারেট নদীর কাছে বসবাস করত। মার্গারেট রিভার কমিউনিটিতে এই পরিবার ‘মাইলস পরিবার’ হিসেবে সুপরিচিত ছিল। নিহতরা হলেন ক্যাটরিনা মাইলস (৩৫), তাঁর বাবা-মা পিটার মাইলস ও সিন্ডা মাইলস এবং ক্যাটরিনার ৮ থেকে ১৩ বছর বয়সী চারজন সন্তান।

পুলিশ কমিশনার ক্রিস ডাসন নিশ্চিত করেছেন, পার্থের দক্ষিণে ওসমিংটন এলাকার ৩০ একর জমির খামারে চার শিশুসহ সাতজনকে গুলিতে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
পুলিশ কমিশনার ক্রিস ডাসন নিশ্চিত করেছেন, পার্থের দক্ষিণে ওসমিংটন এলাকার ৩০ একর জমির খামারে চার শিশুসহ সাতজনকে গুলিতে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
সন্তানদের সঙ্গে ক্যাটরিনা মাইলস। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
সন্তানদের সঙ্গে ক্যাটরিনা মাইলস। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ কমিশনার ক্রিস ডসন ঘটনার প্রাথমিক বিবৃতি দিয়ে জানান, এটি একটি খুন ও আত্মহত্যার ঘটনা। পুলিশ কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজছে না। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ডসন আরও বলেন, নিহতদের মধ্য থেকে একজন সবাইকে গুলি করে খুন করে তারপর নিজে আত্মহত্যা করেছে। ক্যাটরিনা ও তাঁর সন্তানদের লাশ পুলিশ বাড়ির ভেতরে পেয়েছে। ক্যাটরিনার বাবা-মায়ের লাশ বাড়ির বাইরে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। খুনের অস্ত্র হিসেবে তিনটি বন্দুক ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বন্দুকগুলো ক্যাটরিনার বাবা পিটার মাইলসের লাইসেন্সকৃত বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে তিনিই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত করেনি রাজ্য পুলিশ।

ওসমিংটনের যেখানে সাতজনের লাশ পাওয়া গেছে সেখানে ফুলে ফুলে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
ওসমিংটনের যেখানে সাতজনের লাশ পাওয়া গেছে সেখানে ফুলে ফুলে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড

হতাহতের ঘটনায় ক্যাটরিনার স্বামী অ্যারন ককম্যান ভীষণভাবে শোকাহত হয়ে পড়েছেন। অ্যারন একজন স্থানীয় কাঠমিস্ত্রি ও ক্যাটরিনার সঙ্গে তাঁর আগেই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে। মাইলস পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এখনো এ ঘটনার সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারেনি। সকলকেই রাজ্য পুলিশ সর্বাত্মক সহায়তা করছে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া রাজ্যে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিভীষিকাময় হত্যার ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ায় একসঙ্গে এত হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ নয়।

এ মর্মান্তিক এই ঘটনার পর মার্গারেট নদীর পাশে একটি অস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
এ মর্মান্তিক এই ঘটনার পর মার্গারেট নদীর পাশে একটি অস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ছবি: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড

সূত্র: দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড