কোলনে বাংলা নববর্ষবরণ

কোলনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করছেন স্থানীয় শিল্পীরা
কোলনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করছেন স্থানীয় শিল্পীরা

জার্মানির কোলন শহরের ভিডারডর্ফ সড়কসংলগ্ন সবুজে ঘেরা বাগান বাড়িতে প্রতি বছরের মতো এবারও উদ্‌যাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষবরণ উৎসব। সবুজ চত্বরে উড়ছে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা আর বাগানেই নির্মাণ করা হয়েছে মনগ্রাহী মঞ্চ। প্রায় দশ বছর থেকে এই অঞ্চলের প্রবাসী বাঙালিরা জাঁকজমকের সঙ্গে নববর্ষ বরণ উৎসব পালন করে আসছেন এই সবুজ চত্বরে।

বর্ষবরণ মঞ্চের সামনে সদ্য ভাজা ইলিশ মাছ আর পানের ঢালা নিয়ে উদ্যোক্তারা
বর্ষবরণ মঞ্চের সামনে সদ্য ভাজা ইলিশ মাছ আর পানের ঢালা নিয়ে উদ্যোক্তারা

বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদ্‌যাপিত হয়েছে সঠিক দিনেই। কিন্তু প্রবাসে শত ইচ্ছা থাকলেও সঠিক দিনে বাংলা নববর্ষ বরণ অনেক সময় সম্ভব হয় না নানা প্রতিকূলতার কারণে। তবে জার্মানির বন ও কোলন অঞ্চলের উদ্যমী বাঙালিরা বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বরণ করলেন বৈশাখ মাস শেষ হওয়ার একদিন আগেই।

প্রবাসী বাঙালি মেয়েরা সবাই লাল শাড়ি পরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন
প্রবাসী বাঙালি মেয়েরা সবাই লাল শাড়ি পরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন

জার্মানির রাইন নদীর তীর ঘেঁষে বন, কোলন, কোবলেঞ্জ ও ডুয়িসবুর্গ প্রভৃতি শহরগুলো। এই সব শহরগুলো এবং আশপাশের শহরগুলোতে প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে অনেক প্রবাসী বাঙালিদের বসবাস। এই সব শহরগুলো ছাড়াও ডুসেলডর্ফ, এসেন, ইসারলোন, সোলিংগেন ও ট্রিয়ার প্রভৃতি শহরগুলোর অনেক প্রবাসী বাঙালির সম্মিলন ঘটেছিল গত ৩০ বৈশাখ বা ১৩ মে রোববার।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা

মেয়েরা লাল শাড়ি আর ছেলের লাল পাঞ্জাবি পরে নানা অঞ্চলের প্রায় দুই শ বাঙালি উপস্থিত হয়েছিলেন এই বৈশাখী মিলনমেলায়। সবাই কিছু না কিছু সঙ্গে করে এনেছেন। কেউ এনেছেন মিষ্টান্ন, কেউ পিঠাপুলি, কেউ নানা পদের ভর্তা। শুধু বৈশাখী খাবার নয় সঙ্গে সংস্কৃতি। এ দেশে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের বাঙালি ছেলেমেয়েরা বড়দের সঙ্গে তাল মিলয়ে নাচে গানে সারাক্ষণই মাতিয়ে রেখেছিল কোলনের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।