জাপানের মূলধারার রাজনীতিতে প্রবাসীর সহধর্মিণী

মীর খাজুয়ে
মীর খাজুয়ে

পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রবাসীরা সেই দেশের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়াসহ নানা রাষ্ট্রীয় দায়দায়িত্ব পালন করছেন। অতি সম্প্রতি কানাডার নির্বাচনে বাংলাদেশি ডলি বেগমের বিজয় বিদেশে প্রবাসীর সাফল্যর মাইলফলক। সে তুলনায় মাত্র ১৩ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসীর দেশ জাপানে তেমন সাফল্য হয়তো নজরে আসে না। তবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রোলা জাপানের সেরা মডেল, রোলমডেল। এগিয়ে আসছে আরও কয়েকজন। ফুটবলে জায়গা করে নিচ্ছে প্রবাসী কজনার ছেলেরা।

নির্বাচনী সভায় মীর খাজুয়ে
নির্বাচনী সভায় মীর খাজুয়ে

তবে এই প্রথম একজন প্রবাসীর স্ত্রী জাপানের রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছেন। আগামীকাল রোববার (১০ জুন) জাপানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। টোকিওর পাশের জেলা চিবা জেলার মাৎসুদো সিটির সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর সহধর্মিণী অংশগ্রহণ করছেন। তিনি প্রবাসী মীর রেজাউল করীমের সহধর্মিণী মীর খাজুয়ে। তিনি সম্মিলিত বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিপ্রায়ে তিনি জাপানের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে গত মার্চ মাসে স্বেচ্ছায় অবসর নেন।

মীর খাজুয়ের নির্বাচনী প্রচারপত্র
মীর খাজুয়ের নির্বাচনী প্রচারপত্র

এটি একটি মর্যাদাময় সংবাদ। একজন প্রবাসীর স্ত্রী হিসেবে জাপানের মূলধারার রাজনীতির একজন হিসেবে মীর খাজুয়ে বাংলাদেশকেও সম্মানিত করেছেন। তাঁকে অভিনন্দন। নির্বাচনে বিজয়ী হলে জাপানের ইতিহাসে একটি বাংলা নামের অংশ ‘মীর’ লিপিবদ্ধ হবে, বিষয়টা মর্যাদার।
দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি সন্তানেরা ইতিমধ্যেই জাপানি হিসেবে জাপানে নিজেদের স্থান পাকা করে নিয়েছেন। মর্যাদাবান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নৌ ও বিমান সদস্য, বিভিন্ন করপোরেট সংস্থার উচ্চতম স্থানে নিজেদের যোগ্যতা দেখিয়ে চলেছেন।
গবেষণা ক্ষেত্রে আমাদের কিছু কিছু ট্যালেন্টের সাফল্য তো প্রবাসে বাংলাদেশকে নতুন পরিচয়ে সিক্ত করবে। ভবিষ্যতে এদের থেকেই কেউ জাপানের মূলধারার রাজনীতির অংশ ও কর্ণধার হবেন তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

কাজী ইনসানুল হক: টোকিও, জাপান।