স্মৃতিতে বিশ্বকাপ ফুটবল

রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া বনাম সৌদি আরবের খেলার একটি দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া বনাম সৌদি আরবের খেলার একটি দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

সবেমাত্র স্কুলের চৌহদ্দিতে পা দেওয়া শুরু করেছি। এক টাকা দামের খাতার ওপর একটা মানুষের ছবি। তার সামনে গোল একটা বস্তু। আর মাথার কাছে ফুলসদৃশ একটা বস্তু। আর একেবারে ওপরে কিছু একটা লেখা। ধীরে ধীরে অক্ষরজ্ঞান লাভ করার সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারলাম গোল বস্তুটার নাম বল (ভদ্রলোকের ভাষায় ফুটবল)। আর মাথার কাছের ওই বস্তুটার নাম বিশ্বকাপ। আর ওই মানুষটার নাম লেখা ছিল ম্যারাডোনা। এভাবেই ম্যারাডোনার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়।

তবে গ্রামে বল খেলা ছিল খুবই জনপ্রিয় খেলা। একেবারে বাচ্চা ছেলে থেকে শুরু করে বুড়োরা পর্যন্ত বল খেলায় অংশ নিতেন। আর টুর্নামেন্ট আকারে কোনো খেলা হলে তো সারা গ্রামে সাজ-সাজ রব পড়ে যেত। হরেন (টিনের তৈরি চোঙা সদৃশ বস্তু) দিয়ে সারা গ্রামে মাইকিং করা হতো এবং প্রতিটা খেলাতেই গ্রামের সব মানুষ সমস্ত কাজ বাদ দিয়ে খেলা দেখতে যেত। যে দল চ্যাম্পিয়ন হতো তাদের ট্রফি হিসেবে দেওয়া হতো শিল্ড (কাঠের বডির ওপর টিনের কারুকার্যখচিত হৃৎপিণ্ড আকৃতির বস্তু)। ওটা ছুঁয়ে দেখা তখন আমার জীবনের এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। যেটা বর্ণনা করার ভাষা আমার জানা নাই। আর বড়দের দেখাদেখি আমরা ছোটরাও কাগজ-কাপড় গোল করে বেঁধে বল বানিয়ে খেলা শুরু করতাম।

এরপর পঞ্চম শ্রেণির বইতে একটা গল্প ছিল—‘ফুটবলের রাজা কালো মানিক’। পেলের অসাধারণ সব কীর্তির বর্ণনা ছিল গল্পটাতে। পড়তাম আর স্বপ্ন দেখতাম, আহা, আমিও যদি পেলের মতো হতে পারতাম। গল্পটাতে পেলের শৈশব থেকে শুরু করে কালো মানিক হয়ে ওঠা পর্যন্ত প্রায় সব কীর্তির বর্ণনা ছিল। গল্পটা পড়তাম আর রোমাঞ্চিত হতাম ফুটবল নিয়ে গড়া সব কর্মকাণ্ডের রেকর্ডের বহর দেখে। এই মানুষটা ফুটবল নামক খেলাটাকে আসলে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।

রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া বনাম সৌদি আরবের খেলার একটি দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স
রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়া বনাম সৌদি আরবের খেলার একটি দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

পরবর্তী জীবনে এসে জানলাম ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা নামক দেশের খেলোয়াড় আর পেলে ব্রাজিল নামক একটি দেশের খেলোয়াড়। তাই ফুটবলে আমার প্রথম পছন্দের দল আর্জেন্টিনা আর দ্বিতীয় পছন্দের দল (অনেকের কাছে আশ্চর্যজনক মনে হলেও) ব্রাজিল। আর আমি যেহেতু করপোরেট ভক্ত নই তাই পরবর্তী জীবনে আর দল বদল করিনি।

১৯৯৪ সাল। চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা। পাড়াময় টান-টান উত্তেজনা। তার সবই অবশ্য মুখে মুখে। এখনকার মতো বাজি ধরে খেলার চল তখনোও গ্রাম বাংলায় ছিল না। আমাদের পাড়ায় মাত্র দুটি টেলিভিশন। একটা সালামদের বাড়িতে, অন্যটা শামিম কাকুদের বাড়িতে। শামিম কাকুদের বাড়িতে বিশ্বকাপ এলেই টেলিভিশনটা ঘর থেকে বের করে বারান্দায় একটা চেয়ারের ওপর বসিয়ে দেওয়া হতো। যাতে করে বেশি লোক সেটা দেখতে পান। তাদের উঠানে লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। সেই বিশ্বকাপের বেশির ভাগ খেলাই রাতেরবেলা হওয়ায় পাড়ার সব মানুষ দিনের কাজ শেষ করে তাদের বাসায় ভিড় জমাতেন। আমাদের তখন চলছে নবম শ্রেণির প্রথম সাময়িকী পরীক্ষা। পরদিন অঙ্ক পরীক্ষা আমাদের। কিন্তু আগের রাতে ছিল আর্জেন্টিনার খেলা। তাই পড়াশোনা বাদ দিয়ে যথারীতি চলে গেলাম খেলা দেখতে। খেলা দেখতে গিয়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। ম্যারাডোনাকে যেভাবে প্রতিপক্ষ দলের দুই-তিনজন, কখনো তার চেয়ে বেশিসংখ্যক খেলোয়াড় আটকে দিচ্ছিল। তাই তিনি তাঁর স্বাভাবিক খেলাটা দেখাতে পারছিলেন না। তবুও যে দু-একবার তাঁর পায়ে বল যায় তখনই আমরা সবাই মিলে চিৎকার করে উঠি, কোনো অঘটনের আশায়।

দেশের হয়ে রোনালদোর মুখোমুখি হবেন রামোস। ফাইল ছবি
দেশের হয়ে রোনালদোর মুখোমুখি হবেন রামোস। ফাইল ছবি

১৯৯৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের কথা আমরা কখনোই ভুলব না। আমরা সবেমাত্র উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যেই একদিন পত্রিকার পাতায় দেখলাম বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ভাঙচুর করেছে। খবর থেকে এটাও জানলাম, ভাঙচুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অপূরণীয়। সেই কথাটাকে প্রমাণ করার জন্য একটা ছবিও দেওয়া হয়েছিল পত্রিকার পাতায়। সেটাতে দেখা যাচ্ছিল অনেকগুলো কম্পিউটার মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। দেখে খুবই খারাপ লেগেছিল। কারণ আমাদের বন্ধুদের মধ্যে বেশির ভাগেরই স্বপ্নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল বুয়েট এবং সেটাতে ভর্তি হওয়ার জন্যই আমরা নিজেদের তৈরি করছিলাম। পরবর্তীতে যখন বুয়েটে ক্লাস শুরু হলো তখন আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তির সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেও আমাদের ক্লাস শুরু হলো না। কারণ ভাঙচুরের পর যে কয়েক মাস বুয়েট বন্ধ ছিল, সেটা পুষিয়ে নেওয়ার একটা চেষ্টা চলছিল। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আমাদের বন্ধুরা ক্লাস শুরু করে দিল, কিন্তু আমরা বাড়ি বসে বসে বাবার হোটেলের অন্ন ধ্বংস করে চললাম। অবশেষে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ে প্রায় ছয় মাস মানে একটা টার্ম পেছনে থেকে আমরা ক্লাস শুরু করলাম।

২০০২ সালে জাপান বিশ্বকাপের খেলা চলছে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আমাদের বন্ধুরা সবাই ছুটিতে তখন কুষ্টিয়ায়। বন্ধুর কোচিং সেন্টারে আমাদের নিয়মিত আড্ডা চলে। সময়ের কোনো হিসাব থাকে না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সেই আড্ডা। অবশেষে মধ্যরাতের পর আমরা যে যার বাড়ির দিকে রওনা দিই। এভাবে আড্ডা দিতে দিতে একদিন মধ্যরাত হয়ে গেল। এক বন্ধু প্রস্তাব করল, চল সবাই মিলে রেনউইক বাঁধে যাই। রেনউইক বাঁধটা কুষ্টিয়ার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা গড়াই নদীর ভাঙন থেকে শহরকে রক্ষা করার জন্য তৈরি হয়েছিল। সেই সঙ্গে এটা কুষ্টিয়া শহরের অন্যতম বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠেছিল দিনে দিনে। নদীতে বেশির ভাগ সময়ই পানি থাকে খুবই কম। আমরা রেনউইক বাঁধে গিয়ে কখনো বা নৌকাতে করে পানিটুকু পার হয়ে ধু ধু বালির মধ্যে হাঁটাহাঁটি, আবার কখনো ঘণ্টা হিসাবে নৌকা ভাড়া নিয়ে নদীতে ঘুরে বেড়াই। সেদিন মধ্যরাত হয়ে যাওয়াতে আমি আর আমিনুর বাঁধে যেতে রাজি হলাম না, কারণ তাহলে আমাদের বাড়িতে ফিরতে আরও দেরি হয়ে যাবে। বাকিরা সবাই দল বেঁধে বাঁধে বেড়াতে চলে গেল। পরদিন সকালে কোচিং সেন্টারে ঢোকার মুখেই একজন জিজ্ঞেস করলেন, ভাই কি জাপান থেকে আসলেন। ভেতরেও বেশ কয়েকজন একই প্রশ্ন করল। আমি তখনো এর মাথামুণ্ডু বুঝে উঠতে পারছি না। একটু পরে এক বন্ধু ব্যাপারটা খোলাসা করল। কাল রাত্রে বাঁধে যাওয়ার পর সবাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে হাজতে পুরে দিয়েছিল। পরে সকলের পরিচয় পেয়ে ও আমাদের একজন অভিভাবকের সহায়তায় সবাইকে ছেড়ে দেয়। এই হাজতবাসটাকেই সবাই মজা করে জাপান যাওয়া বলছিল।

আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতিতে মেসিরা। ছবি: টুইটার
আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতিতে মেসিরা। ছবি: টুইটার

২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আমার জীবনের আরেক স্মরণীয় ঘটনা। আমার মেয়ে তাহিয়া তত দিনে বড় হয়ে গেছে। সে আমার সব পাগলামিতে সহযোগী হিসেবে থাকে। বিশ্বকাপের উন্মাদনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটা বাংলাদেশের পতাকা আর একটা আর্জেন্টিনার পতাকা কিনে নিয়ে এলাম। তারপর একটা বাঁশের মাথায় সবার ওপর বাংলাদেশের পতাকা, তার নিচে আর্জেন্টিনার পতাকা টানিয়ে সেটাকে সিঁড়ি ঘরের ওপরে উঠে কলামের বাড়তি রডের সঙ্গে দাঁড় করিয়ে দিলাম। যাতে বাসাতে অন্য কেউ পতাকা টানালেও আমাদেরটাই সবার ওপরে থাকে। এ ছাড়া আমাদের বাপবেটির জন্য কিনে আনা জার্সি আমরা পরতাম যেদিন আর্জেন্টিনার খেলা থাকত। আর্জেন্টিনা একে একে সবগুলো ধাপ অতিক্রম করে ফাইনালে পৌঁছাল। আমি খেলা দেখলেই যেহেতু আমার প্রিয় দল হেরে যায় তাই আমি বেশির ভাগ খেলাই দেখি না। পরে হাইলাইটস দেখে সেই ক্ষতিটা পুষিয়ে নিই যদি জিতে আর না জিতলে হাইলাইটসও দেখা হয় না। কিন্তু আমি ফাইনাল খেলাটা দেখলাম। এত ভালো খেলার পরও যখন বাড়তি সময়ের গোলে আর্জেন্টিনা হেরে গেল, তখন আমার চোখ ভিজে গেছে। তাহিয়া এসে বারবার জিজ্ঞেস করে, বাবা কাঁদছ কেন? আমি কোনো উত্তর দিতে পারি না।

বিশ্বকাপ ফুটবলের এই সব পাগলামো আর উত্তেজনার ছিটেফোটাও অস্ট্রেলিয়াতে দেখি না। এখানে যা কিছু উত্তেজনা সবই রাগবিকে ঘিরে। আসলে রাগবি খেলাই এখানকার ফুটবল খেলা আর ফুটবলকে এরা বলে সসার। অস্ট্রেলিয়ানদের ইংরেজি সারা বিশ্ব থেকে আলাদা। এরা সব শব্দেরই একটা সংক্ষিপ্ত রূপ তৈরি করে নেয় সহজে উচ্চারণ করার জন্য। যেমন আমার আগের অফিসে একজন সহকর্মীর নাম ছিল এনজিনিস রেড্ডি। কিন্তু অফিসের সবাই তাকে এনজি বলেই ডাকে। বর্তমান অফিসেও এমন ডাকার প্রচলন দেখি। সিম্পসন হয়ে গেছেন সিমো, মাইকেল হয়ে গেছেন মিক আর ক্যামেরন হয়ে গেছেন ক্যাম। তাই রাগবি মানে ফুটবলকেও এরা একটা সংক্ষিপ্ত নাম দিয়ে দিয়েছে সেটা হলো ফুটি। অস্ট্রেলিয়ানদের সকল উত্তেজনা, আড্ডা ও বিভিন্ন প্রকার ব্যবসার বিষয়বস্তু বা মূলধন হচ্ছে এই ফুটি বা রাগবি। এমনকি এখানে বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা সাধারণ চ্যানেলগুলোতে দেখায় না। আপনি যদি বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে চান তাহলে আপনাকে আরও বাড়তি কিছু ডলার গুনতে হবে সার্ভিসটা সাবস্ক্রাইব করার জন্য।

এবারের বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে। এটা নিয়ে গিন্নির সঙ্গে মাঝেমধ্যেই আলোচনা করি। সেটা শুনে তাহিয়া বলল, বাবা আমরাতো আর্জেন্টিনা? আমি বললাম, হ্যাঁ, মা আমরা আর্জেন্টিনা। ও তখন বলল আমাদের তো আর্জেন্টিনার পতাকা আছে। উত্তরে আমি আবারও হ্যাঁ বললাম। আমরা দেশ ছেড়ে আসার সময় অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা এবং আর্জেন্টিনার জার্সি আর পতাকাও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেদিনই খেলতে নামে আমি তাহিয়া আর ছোট রায়ান সেদিন বাসায় বাংলাদেশের জার্সি পরে থাকি সারা দিন। ঠিক একইভাবে এখন যেদিন আর্জেন্টিনার খেলা থাকবে আমরা সেদিন আর্জেন্টিনার জার্সি পরে থাকব আর বারান্দায় টানিয়ে দেব আর্জেন্টিনার পতাকা। এটাই আমাদের এইবারের বিশ্বকাপ উন্মাদনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এক দলের সাপোর্টারদের অন্য দলের সাপোর্টারদের নিয়ে বিষোদ্‌গার দেখছি প্রতি মুহূর্তে। এটাকে আমি খারাপভাবে দেখি না। অন্ততপক্ষে এই কটা দিন বাংলাদেশের সব মানুষ নিজেদের সকল সমস্যা ভুলে একটু নির্মল বিনোদন পাবে এই আশায়। তবে যে জিনিসটা খারাপ লেগেছে সেটা হলো, ইদানীং দেখছি এই বিষোদ্‌গার একেবারে শিশুদের দিয়ে করানো হচ্ছে। যে শিশু অন্য দলের সাপোর্টারদের বিষয়ে এমন বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব নিয়ে বড় হচ্ছে, জানি না সে বড় হয়ে কী ঘটাবে। বিশেষ করে খারাপ লাগে যখন খবরে দেখি এক দলের সাপোর্টাররা অন্য দলের সাপোর্টারদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়েছে বা মারধর করেছে। আমি তাহিয়াকে আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করতে বলেছি, পাশাপাশি এও বলেছি এটা শুধুই একটা খেলা এবং এখানে হারজিৎ থাকবেই। তাই এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। আসুন খেলাধুলাটাকে বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে এর উত্তেজনা ও আনন্দটুকু নিংড়ে নিই। বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে যেন অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে না দাঁড়াই। তা হলে কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবলেরই মর্যাদা হানি হবে।

মো. ইয়াকুব আলী: সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।