সাসকাতুনে ঈদ পুনর্মিলনী

ব্যান্ড দলের পরিবেশনা
ব্যান্ড দলের পরিবেশনা

ঈদ মানেই তো বাঙালির এক বিশাল উৎসব। বাঙালি দেশ ছেড়ে প্রবাসে পা বাড়ায়, সঙ্গে নিয়ে আসে তার বিভিন্ন পালা-পার্বণ।। সে হোক প্রচণ্ড ঠান্ডা কিংবা গরম কিংবা থাক না চরম ব্যস্ততা। তার মাঝেই ঈদ হোক কিংবা পূজা, সবকিছুই পালন করা চাই প্রবাসীদের।

অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

ঈদের পরদিন গত ১৬ জুন শনিবার বিরাট এক ঈদ-উত্তর পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয় সাসকাতুনের কসমো সিভিক সেন্টারে। প্রায় পাঁচ শ লোকের অংশগ্রহণে হইচই আর আনন্দে কাটল একটি মনোরম সন্ধ্যা। কী না ছিল আয়োজনে সেদিন। ব্যান্ড দল প্রত্যাশার পরিবেশনায় পুরোটা সন্ধ্যায়ই গানের সূরে আচ্ছন্ন ছিল সবাই। সঙ্গে ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা। আর ছিল বিনা মূল্যে চমৎকার সব মজাদার খাবার। গরম-গরম চায়ের সঙ্গে আড্ডা ও কুশল বিনিময় চলছিল। সঙ্গে অসাধারণ সব গান। পুরোটা অনুষ্ঠান জুড়েই ছিল ঈদের আমেজ। নারী-পুরুষ ও বাচ্চাদের পরনে ছিল বাঙালি পোশাক—শাড়ি সালোয়ার-কামিজ ও পাঞ্জাবি। মনে হচ্ছিল ছোট্ট বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মোহাম্মদ আজাদ (সাজ্জাদ), ড. আবদুল্লাহ মামুন, কনসাল জেনারেল রব নরিস, বিসিএসের প্রেসিডেন্ট কামনাশিস দেব, বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রহমত উল্লা, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব সাসকাতুনের প্রেসিডেন্ট বজলুর রশীদ সুইট ও সাইফুল আহমেদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ফারুক হোসেন।

অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

চমৎকার এই অনুষ্ঠান আয়োজনে ছিলেন মোহাম্মদ আজাদ, জাকির হোসেন, সাইফুল আহমেদ, ফারুক হোসেন, সাদমান মাহমুদ খান, কাজী মাইশা, অনিকা মাইসা, মেহেদি হাসান, সৌরভ আলী, তারেক মাহমুদ. হেদায়েত হোসেন, খসরু ইমাম, তাসনুভা হোসেইন। এ ছাড়া ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব সাসকাতুন।

ভিকারুন নিসা: সাসকাতুন, সাসকাচেওয়ান, কানাডা।