অস্ট্রেলিয়ায় পার্সেল চোর থেকে সাবধান!

পার্সেল চুরি হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ
পার্সেল চুরি হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ

অস্ট্রেলিয়ায় ঘরের দরজার সামনে বা বাড়ির পার্সেল বক্সে রেখে যাওয়া পার্সেল চুরি হচ্ছে এখন ঘন ঘন। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমনটি প্রকাশ পেয়েছে। ভুক্তভোগী রয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরাও। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ঘরে বসেই অনলাইনে পণ্য কেনা নিত্য ঘটনা। আর অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতে এর আধিক্য অহরহ। সাধারণত অনলাইনে কোনো পণ্য কেনা হলে বিক্রেতা সেটি কুরিয়ার বা পার্সেল সেবা প্রদানকারীর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। গ্রাহক বাড়িতে থাকলে পণ্যটি তার হাতেই বুঝিয়ে দেয় পার্সেল ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান। তবে বিপত্তিটা ঘটে গ্রাহক যদি বাড়িতে না থাকেন। অনলাইনে পণ্য কেনার সময় গ্রাহক যদি কোনো বিশেষ ডেলিভারি সুবিধা বাছাই না করেন, তবে গ্রাহক বাড়িতে না থাকলে তা ঘরের দরজার সামনে বা বাড়ির পার্সেল বক্সেই রেখে যান পার্সেল ডেলিভারি কর্মীরা। আর এ সুযোগে পার্সেল চুরি যাচ্ছে প্রায়শ।

পার্সেল চুরি হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ
পার্সেল চুরি হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এমন কিছু পার্সেল চুরি হওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, পার্সেল রেখে যাওয়ার মিনিট খানিকের মধ্যেই অজ্ঞাতনামা কেউ সেই পার্সেলটি নিয়ে যাচ্ছে। পার্সেল চুরির এমন বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশের পর গোটা অস্ট্রেলিয়াতেই এমন চুরির আরও ঘটনার কথা সামনে আসে। পার্সেল চুরির ঘটনায় পুলিশ অপরাধীদের খোঁজ করছে। তবে ভুক্তভোগী ও পুলিশের ধারণা, পার্সেল চোরেরা পার্সেল করতে আসা গাড়িকে অনুসরণ করে। তবে পার্সেল চুরির হাত থেকে রক্ষা করতে গ্রাহকের পূর্ব সতর্কতাই প্রধান বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম কুরিয়ার সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘অস্ট্রেলিয়া পোস্ট’। তারা জানিয়েছে, পার্সেল সব সময় কোনো লকার বা নিকটস্থ পোস্ট অফিসে ডেলিভারি নেওয়া উচিত। গ্রাহকের স্বাক্ষর ছাড়া পার্সেল বাড়িতে রেখে যাওয়ার পর সেটি চুরি হয়ে গেলে পুলিশকে জানানো ছাড়া ভুক্তভোগীর আর কিছুই করার থাকবে না। অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী অনেক বাংলাদেশির পার্সেল চুরি যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। সাধারণ কর্মদিবসে কেউই বাড়িতে থাকেন না। এই সুযোগেই চুরিটা হয়। তাই অভিবাসীরা পার্সেল চোর থেকে সাবধান।

তথ্যসূত্র: ৯নিউজ.কম.এইউ