সিউলে বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের সঙ্গে দূতাবাসের মতবিনিময়

সিউলে বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়
সিউলে বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়

দক্ষিণ কোরিয়ায় এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে আসা বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস। গত শনিবার (২৩ জুন) স্থানীয় সময় বিকেলে রাজধানী সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইপিএসের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দূতাবাসের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম ও দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও কোরিয়াতে আসা ইপিএস কর্মীরা।

সিউলে বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়
সিউলে বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়

অনুষ্ঠানে জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া দূতাবাসের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। কয়েকজন ইপিএস কর্মী ইপিএস-বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের উপায় রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। আলোচনার মধ্যে উঠে আসে উদ্যোক্তা তৈরি ও প্রশিক্ষণের সহায়তা, ইপিএস কর্মীদের মধ্যে রিফিউজি ভিসা ও অবৈধ হওয়ার প্রবণতা বিষয়ে।
ইপিএস বাংলা কমিউনিটির সম্পাদক ফজলুর রহমান তার বক্তব্য জানান, ইপিএস ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও কিছু কর্মী দেশে ফিরে যান না। ফলে তারা অবৈধ হয়ে যান। তাদের দূতাবাস সনদ প্রদান করলে অনেকে দেশে ফেরত যাবেন। তিনি কোরিয়ায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার প্রস্তাব করেন।

মতবিনিময়ে উপস্থিতির একাংশ
মতবিনিময়ে উপস্থিতির একাংশ

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেবেন এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা খোলার ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালাবেন।
অন্যান্যের মধ্য বক্তব্য দেন ইপিএস বাংলা কমিউনিটির সভাপতি শান্ত শেখ, সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, ইকেবিসির সদস্য ইউসুফ, রাইসুল ইসলাম ও ইসোর সাধারণ সম্পাদক খাজা মামুন প্রমুখ।
তারা ইপিএসের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত তাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেন।
মতবিনিময়ের পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ফারুক হিমেল: সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া।