সৌদি আরবে অভিবাসীদের দ্রুত ও উন্নত সেবা প্রদানের আহ্বান

প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গোলাম মসীহ
প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গোলাম মসীহ

সৌদি আরবে কর্মরত অভিবাসীদের দ্রুত, আধুনিক ও উন্নত সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সনদপত্র বিতরণকালে তিনি এ আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার (৩০ জুন) প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

দূতাবাসের শ্রম উইং আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বলেন, সৌদি আরবে নানা প্রান্ত থেকে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দূতাবাসে আসেন। মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শুনতে ও হাসিমুখে সেবা প্রদান করতে হবে। তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করে অভিবাসীদের সেবা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে। রাষ্ট্রদূত বলেন সমস্যাগ্রস্ত অভিবাসী শ্রমিকদের মনে বিভিন্ন কারণে ক্ষোভ থাকতে পারে। এ জন্য কেউ হয়তো উচ্চ স্বরে কথা বলতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না। গোলাম মসীহ দূতাবাসের সেবাসংক্রান্ত সকল তথ্য অভিবাসীদের জন্য সহজে পৌঁছানোর জন্যও আহ্বান জানান।

প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ করেন গোলাম মসীহ
প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ করেন গোলাম মসীহ

গত ২৮ জুন শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণে সৌদি আরবে অভিবাসী বাংলাদেশিদের মৃতদেহ দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া, মৃত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও বকেয়া পাওনা আদায়, ফ্রি ভিসার নামে লোক পাঠানো বন্ধ করা, প্রতারণা বা যেকোনো জালিয়াতি করা হলে জনশক্তি রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. নজরুল ইসলাম বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিষ্টাচার ও আচরণ পরিবর্তনে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তিনি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অভিবাসীদের সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নজরুল ইসলাম
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নজরুল ইসলাম

দ্বিতীয় সচিব (শ্রম) মো. সফিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহ আলম চৌধুরী, ইকোনমিক মিনিস্টার ড. মো. আবুল হাসান ও শ্রম কাউন্সেলর সরোয়ার আলম। অফিস ব্যবস্থাপনা ও সরকারি চাকরির বিধিবিধান সম্পর্কে প্রশিক্ষণে সেশন পরিচালনা করেন দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মো. বশির, প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আসাদুজ্জামান ও কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদউদ্দিন আহমেদ।