স্ট্রোকে মৃত্যু ঠেকাতে প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতা

কর্মশালার দৃশ্য
কর্মশালার দৃশ্য

প্রতিবছর শুধুমাত্র কানাডায় স্ট্রোকে মৃত্যু হয় ৬২ হাজার লোকের। কানাডীয়দের মৃত্যুর অন্যান্য কারণের মধ্যে এর স্থান তৃতীয়। স্ট্রোকে মৃত্যুহার রোধে প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতা। কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য প্রদান করা হয়। গতকাল শনিবার (৭ জুলাই) টরন্টোর ডেনফোর্থের এক্সেস পয়েন্টে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বেশ কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় স্ট্রোকের ঝুঁকি, লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করা হয়। কানাডিয়ান সেন্টারের হেলথ ফ্যসিলিটেটর, ঢাকার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ মো. মোহিতুল ইসলাম কর্মশালায় এ সম্পর্কিত তথ্য উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের মাঝে তুলে ধরেন।

মোহিতুল ইসলাম বলেন, উচ্চ রক্তচাপ, কায়িক পরিশ্রম না করা, ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়া, ধূমপান, ওজন বৃদ্ধি ও মানসিক চাপ স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়। নিয়মিত অতিরিক্ত মদ্যপানও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। আর সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। যেমন মেডিটেশন করা, প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়া, অতিরিক্ত চর্বি ও লবণ জাতীয় খাবার পরিহার করা এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রভৃতি।

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

উল্লেখ্য, কানাডার হার্ট অ্যান্ড স্ট্রোক ফাউন্ডেশনের মতে প্রতিবছর কানাডায় স্ট্রোকে মৃত্যু হয় ৬২ হাজার লোকের। আর স্ট্যাটিসটিকস কানাডার মতে, কানাডায় যেসব কারণে লোকের মৃত্যু হয় এর মধ্যে স্ট্রোকের অবস্থান তৃতীয়। ২০১২-১৩ সময়কালে কানাডায় স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সাড়ে সাত লাখ। ২০০৩-০৪ সময়ের চেয়ে এ হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।

কানাডিয়ান সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিন উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শুধু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য নয়, চাকরি, শিক্ষা, সেটেলমেন্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংগঠন কমিউনিটির লোকদের সাধ্যমতো সহায়তার চেষ্টা করবে। যাতে কানাডায় অবস্থানরত বাঙালিরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন। বিজ্ঞপ্তি