অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষাঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব

বাবা-মার সঙ্গে সামিদ হাসান
বাবা-মার সঙ্গে সামিদ হাসান

অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) রাজ্যের সরকারি সিলেক্টিভ মাধ্যমিক স্কুলের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ পরীক্ষায় দেশটির বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কুলে মেধা তালিকায় কৃতিত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। 

বাবার সঙ্গে ইউয়াশা কবির
বাবার সঙ্গে ইউয়াশা কবির

গত বছরের বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ বছরও রাজ্যের স্বনামধন্য সিলেক্টিভ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

বাবা-মার সঙ্গে সামরিন সাঈদ
বাবা-মার সঙ্গে সামরিন সাঈদ

এনএসডব্লিউ রাজ্যের সিলেক্টিভ স্কুলের মোট ৪ হাজার ২২৬টি সংরক্ষিত আসনের জন্য প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষার আসনে বসে। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মেধা তালিকায় আসা শিক্ষার্থীদের আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে নির্ধারিত বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ।

মার সঙ্গে জান্নাত রহমান
মার সঙ্গে জান্নাত রহমান

২০১৮ সালের সরকারি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর একজন হলো সামিদ হাসান। লুমিয়া পাবলিক স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে সর্বোচ্চ নম্বর ২৬০ দশমিক ৩৯ নম্বর নিয়ে সামিদ হাসান সিডনি বয়েজ হাইস্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

মার সঙ্গে রাফিন মির্জা
মার সঙ্গে রাফিন মির্জা

এ ছাড়া মেধা তালিকায় নাম আসা অন্যান্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁদের নাম জানা গেছে তাঁরা হলো; ইউয়াশা কবির সিডনি বয়েজ হাই স্কুলে, সামরিন সাঈদ ও জান্নাত রহমান সিডনি গার্লস হাইস্কুলে, রাফিন মির্জা হার্লস্টন এগ্রিকালচারাল হাইস্কুলে ও আদ্রিতা রহমান ম্যাককোয়ারি ফিল্ড হাইস্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

বাবা-মার সঙ্গে আদ্রিতা রহমান
বাবা-মার সঙ্গে আদ্রিতা রহমান

অস্ট্রেলিয়ার এনএসডব্লিউ রাজ্যের ভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার দরুন সিলেক্টিভ বা সরকারি বিদ্যালয়গুলো মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কম খরচে উচ্চমানের শিক্ষা নিশ্চিত করে। শিক্ষাজীবনের পরবর্তী উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়ে সিলেক্টিভ স্কুলের শিক্ষা অনেকখানি সহায়তা করে। তবে একজন শিক্ষার্থীর সুশিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীর নিজের একাগ্রতাও প্রধান বলে মনে করেন বেশির ভাগ অভিভাবক।

দুই সন্তান ও স্ত্রীর সঙ্গে আবু তারিক
দুই সন্তান ও স্ত্রীর সঙ্গে আবু তারিক

আবু তারিক একজন অভিভাবক। তিনি জানান, তাঁর দুই সন্তান সিডনি বয়েজ হাইস্কুলে পড়ছে। এসব সিলেক্টিভ স্কুল শিক্ষার্থীকে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে মূল পড়াশোনা শিক্ষার্থীকেই করতে হয়।

বাবা-মার সঙ্গে রিদওয়ান আহমেদ
বাবা-মার সঙ্গে রিদওয়ান আহমেদ

অন্যদিকে, ২০১৭ সালেও অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশি ছেলেমেয়েরা অনেক ভালো ফলাফল করেছিল। অ্যাসফিল্ড পাবলিক স্কুলে থেকে রিদওয়ান আহমেদ সিলেক্টিভ স্কুলের সেরা জেমস রুজ হাইস্কুলে ও ঈশান তারিক সিডনি বয়েজ হাইস্কুলে সুযোগ পেয়ে এখন পড়াশোনা করছে।
আরও কিছু বাংলাদেশি মেধাবী শিক্ষার্থী এসব সিলেক্টিভ স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের নাম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।