টোকিওতে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও পর্যটন নিয়ে সেমিনার

সেমিনারে বক্তব্য দেন রাবাব ফাতিমা
সেমিনারে বক্তব্য দেন রাবাব ফাতিমা

বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও পর্যটন সম্পর্কে জাপানি নাগরিকদের অবহিত করা ও তাদের বাংলাদেশে ভ্রমণে আগ্রহী করার লক্ষ্যে টোকিওতে আজ মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ লক্ষ্য নিয়ে ‘বাংলাদেশ কালচার অ্যান্ড টুরিজম সেমিনার’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস। সহযোগিতা করে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ একাডেমি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রায় এক শ জাপানি নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশকে জাপানিদের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাই ছিল এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ একাডেমির করপোরেট অ্যাডভাইজার তাদাশি সুগায়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

সেমিনারে বক্তব্য দেন মাসাতু কিতামুরা
সেমিনারে বক্তব্য দেন মাসাতু কিতামুরা

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি উপস্থিত অতিথিদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও সবচেয়ে ভালো বন্ধু রাষ্ট্র। জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় সহযোগী। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন খুব দ্রুত জাপান বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত হবে।
রাবাব ফাতিমা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সাহিত্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয় আগত অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাপান ও জাপানি মানুষ বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছে এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক দিন দিন আরও গভীর হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত জাপানি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করার আহ্বান জানান।

তাদাশি সুগায়াকে উপহার দেন রাবাব ফাতিমা
তাদাশি সুগায়াকে উপহার দেন রাবাব ফাতিমা

দূতাবাসের প্রথম সচিব জোবায়েদ হোসেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি, দর্শনীয় স্থান, উৎসব, জীবন-জীবিকা, বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত স্থানসমূহ, ঐতিহ্যবাহী খাবার ইত্যাদি বিষয়ে উপস্থাপনা করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিনোদনমূলক বিভিন্ন ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ একাডেমির প্রেসিডেন্ট মাসাতু কিতামুরা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করায় রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশকে একটি সুখী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

সেমিনারে উপস্থিতি
সেমিনারে উপস্থিতি

সভা শেষে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি