বঙ্গবন্ধুর ঋণ কখনোই শোধ করা সম্ভব নয়

ইয়াঙ্গুনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা
ইয়াঙ্গুনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঋণ বাঙালির পক্ষে কখনোই শোধ করা সম্ভব নয়। তাঁর আহ্বানে ও নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রামী শক্তিতে রূপান্তরিত করেছেন। বাঙালি জাতির সকল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে সফল দিকনির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী।

ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ বুধবার যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাসে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা, কোরআনখানি ও বিশেষ দোয়া মাহফিল।

ইয়াঙ্গুনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা
ইয়াঙ্গুনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা

রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন। তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইয়াঙ্গুনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং এক মিনিটের নীরবতা পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সালে শাহাদত বরণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া, দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্থানীয় একটি এতিমখানায় এতিমদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে তাঁর ভূমিকা ও দূরদর্শিতার বেশ কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে বাংলাদেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবদান রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি