ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি

আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নাজমুল ইসলাম
আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মো. নাজমুল ইসলাম

ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শ ও স্বপ্নের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সুইডেনের বাংলাদেশ দূতাবাস বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে গত বুধবার (১৫ আগস্ট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। সন্ধ্যায় স্টকহোমে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামমুখর জীবন, আদর্শ ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ প্রদর্শন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মো. নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুইডেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে শাহাদত বরণকারী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শ ও স্বপ্নের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রমের ভূয়সী প্রশংসা এবং উপস্থিত প্রবাসীদের প্রতি দেশের উন্নয়নে অধিকতর সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়

অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে আগত সুধীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শেখ মো. শাহরিয়ার মোশাররফের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে থেকে কয়েকজন বক্তব্য দেন। বক্তারা তাঁদের আলোচনায় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের সম্মোহনী ও দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং অসামান্য আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর সরকারের সাড়ে তিন বছরের অসামান্য সাফল্য উঠে আসে তাদের বক্তব্যে। বক্তারা স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র কর্তৃক সংঘটিত ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ওপর লেখা কবিতা ও গান পরিবেশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি