বার্লিনে বাংলাদেশির উচ্চশিক্ষা সহায়ক প্রতিষ্ঠান

ক্লাসে শিক্ষার্থীরা
ক্লাসে শিক্ষার্থীরা

জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে উচ্চশিক্ষা শেষে মেধা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়েছেন এমন বাংলাদেশি তরুণদের সংখ্যা অনেক। তেমনই একজন সফল উদ্যোক্তা ঢাকার ফজল ই ইলাহী। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে তরুণ এই প্রকৌশলী নিজ উদ্যোগে বার্লিনের ক্লেয়ারভের্ক স্ট্রাসের স্পান্ডাউয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন উচ্চশিক্ষা সহায়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসআইডি।

উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরি কিংবা ব্যবসায়ে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মধ্য ইউরোপের শক্তিশালী দেশ জার্মানি হতে পারে পছন্দের একটি দেশ। পড়াশোনা শেষে যে কেউ নিতে পারেন ক্যারিয়ার গড়ার সুবর্ণ সুযোগ। তেমনি একজন সফল বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ফজল ই ইলাহী। জার্মানির একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষা শেষে শুধুমাত্র বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন উচ্চশিক্ষা প্রস্তুতি ও তথ্য সহায়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—স্টুডিয়েনকলেগ ফরব্রাইটুং ইন ডয়েচলান্ড এসআইডি।

ক্লাসে শিক্ষার্থীরা
ক্লাসে শিক্ষার্থীরা

একজন যন্ত্র প্রকৌশলী হয়েও এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার পেছনের গল্পটা হয়তো অনুপ্রাণিত করবে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী তরুণদের। ফজল ই ইলাহী জানান, জার্মানিতে উচ্চশিক্ষায় কোনো খরচ নেই। যে কেউ যেকোনো বিষয়ে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে এই সুযোগটা নিতে পারেন। তিনি আরও জানান, ২০০৯ সালে যখন আমি প্রথম আসি তখন এত সুযোগ ছিল না। স্টুডেন্ট ডরমিটরিতে জায়গা না হওয়ায় পোহাতে হয়েছিল বড় রকমের ভোগান্তিতে। তা ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতির বিষয়ে অনভিজ্ঞতা ও জার্মান ভাষায় অদক্ষতাসহ ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় পোহাতে হয়েছে ভীষণ রকমের দুর্ভোগ। আমার মতো অনেক বাংলাদেশি ভাইবোনদেরও এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তাই জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহীরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৈধভাবে আবেদন করে পড়াশোনা শুরু করতে ও পড়াশোনা শেষে দেশে কিংবা বিদেশে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন, এ সব বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিতেই আমার এই প্রতিষ্ঠান। তবে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী আগামীর তরুণ তরুণীদের দালাল থেকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ঢাকার শান্তিনগরে জন্ম নেওয়া ২৭ বছর বয়সী এই তরুণ।

এসআইডির শিক্ষার্থীরা
এসআইডির শিক্ষার্থীরা

ফজল ই ইলাহীর প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৫ জন। বাংলাদেশি ও বিদেশি মিলিয়ে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৩৫ জন শিক্ষার্থীর। ফজল ই ইলাহীর প্রতিষ্ঠানে সহযোগী হিসেবে আছেন শাওন, লামিসা, সাইফ, ক্যাথরিন ও স্টেলপার্ট। তারা জানান, ফজল ই ইলাহী একজন ভালো মানুষ। তিনি চেষ্টা করেন সবার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে।

বিটু বড়ুয়া: বার্লিন, জার্মানি।