টেকসই ও সবুজ উন্নয়নে বাংলাদেশ নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে

পিফোরজির প্রথম সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ইথিওপিয়া, নেদারল্যান্ডসের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, চীন ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের সদস্যরা
পিফোরজির প্রথম সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ইথিওপিয়া, নেদারল্যান্ডসের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, চীন ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের সদস্যরা

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের বিবেচনায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ হওয়ায় সবুজ উন্নয়নবিষয়ক নতুন বৈশ্বিক জোট পিফোরজির (পার্টনারিং ফর গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল গোলস ২০৩০) মূলমন্ত্রের সঙ্গে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। টেকসই ও সবুজ উন্নয়নে বাংলাদেশ নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। পিফোরজির প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে উচ্চপর্যায়ের সংলাপে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, পিফোরজির দুই দিনব্যাপী (১৯-২০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ইথিওপিয়া, নেদারল্যান্ডসের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, চীন ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের সদস্য, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, বহুজাতিক সংস্থার প্রধান নির্বাহী, গবেষণাবিদ, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে সম্মেলনটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে উল্লেখিত লক্ষ্যসমূহ পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে।

সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেনিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়
সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেনিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও উল্লেখ করেন, পিফোরজি নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ও অংশীদারি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেনিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। পরে বাংলাদেশের ডেইরি সেক্টরের আধুনিকায়নে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ডেনিশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের মিল্ক ভিটা ও ডেনিশ ডেইরি কোম্পানি আরলা ফুডের সঙ্গে টেকসই ডেইরি খাত উন্নয়নে একটি ব্যবসায়িক সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশের ডেইরি সেক্টরের আধুনিকায়নে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ডেনিশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় (ছবিতে বাঁয়ে)। এ ছাড়া বাংলাদেশের মিল্ক ভিটা ও ডেনিশ ডেইরি কোম্পানি আরলা ফুডের সঙ্গে টেকসই ডেইরি খাত উন্নয়নে একটি ব্যবসায়িক সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয় (ছবিতে ডানে)।
বাংলাদেশের ডেইরি সেক্টরের আধুনিকায়নে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ডেনিশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় (ছবিতে বাঁয়ে)। এ ছাড়া বাংলাদেশের মিল্ক ভিটা ও ডেনিশ ডেইরি কোম্পানি আরলা ফুডের সঙ্গে টেকসই ডেইরি খাত উন্নয়নে একটি ব্যবসায়িক সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয় (ছবিতে ডানে)।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, খোরশেদ আলম খাস্তগির সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি