এ প্রজন্মের বাংলাদেশিরা ভাগ্যবান

উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা শীর্ষক আলোকচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শনী
উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা শীর্ষক আলোকচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শনী

এ প্রজন্মের বাংলাদেশিরা ভাগ্যবান। নতুন ও অগ্রসরমাণ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তাদের বিরাট ভূমিকা পালনের অবকাশ রয়েছে। তাদের এই ভূমিকা জাতির প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় জাতীয় উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী।

গত রোববার (২১ অক্টোবর) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে উদ্‌যাপন করা হয়েছে জাতীয় উন্নয়ন মেলা। দুপুরে আঙ্কারার ওরানের মেনেক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে দূতাবাস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের ওপর তথ্যভিত্তিক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিসহ তুরস্কে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উন্নয়ন মেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক প্রদান
উন্নয়ন মেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক প্রদান

রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক প্রদানের পর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উন্নয়ন মেলা শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রযাত্রার ওপর বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া, সম্প্রতি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণ বিষয়ে হোটেলের ছবি গ্যালারিতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর ‘উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক একটি আলোকচিত্র ও পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের আঙ্কারার কার্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা হাবীব রব। তিনি পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক শক্তি ও স্থিতিশীলতার বিভিন্ন দিক এবং সম্ভাবনার দিকগুলো অতিথিদের মাঝে তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন এম আল্লামা সিদ্দীকী
আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন এম আল্লামা সিদ্দীকী

বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা, বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতিমালা এবং কৃষি খাতে অগ্রগামিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার বিষেষজ্ঞ শেখ মো. আহাদুজ্জামান।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব বাংলাদেশের উন্নয়নের রৈখিক চিত্র উপস্থিত অতিথিদের মাঝে তুলে ধরেন। তিনি দেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়ে অবদান রাখার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া, অতি সম্প্রতি অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকের সব মানদণ্ডে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিতির একাংশ
আলোচনা সভায় উপস্থিতির একাংশ

আলোচনার পর অতিথিরা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ গ্রহণ ও খাবার শেষে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠান উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসী, শিক্ষার্থী ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয় উন্নয়ন মেলা উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।

উল্লেখ্য, উন্নয়ন মেলার অংশ হিসেবে তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস আগামী ৬-৮ নভেম্বর আঙ্কারার সুইস হোটেলের সহযোগিতায় বাংলাদেশের খাদ্য উৎসব আয়োজন করবে। বিজ্ঞপ্তি