স্পেনে দেশি সবজি চাষে প্রবাসীর সাফল্য
বিদেশে প্রবাসীদের কাছে দেশীয় সবজির কদর থাকলেও অনেকেই এর স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন। বিশেষত ইউরোপে। মূলত ঠান্ডা আবহাওয়া ও স্থানীয়দের খাবারের তালিকায় না থাকায় ইউরোপের বেশির ভাগ দেশেই বাংলাদেশি সবজি চাষ হয় না বললেই চলে। তাই বাংলাদেশিদের নির্ভর করতে হয় দেশ থেকে আসা শাকসবজির ওপর। কিন্তু বেশি দামের কারণে সবার পক্ষে তা কিনে খাওয়া সম্ভব হয় না।
এ কথা মাথায় রেখে স্পেনপ্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আল আমীন মিয়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে সরকারি জমি ভাড়া নিয়ে রাজধানী মাদ্রিদের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের একটি মাঠে পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ শুরু করেছেন বাংলাদেশি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। মাদ্রিদের শহরতলি টোলেডোর টেম্বলেকে গ্রামে বিরাট আবাদি জমিতে প্রাথমিকভাবে শখ করে এ মৌসুমে চাষ করেছিলেন দেশি লাউ, শাক ও মিষ্টি কুমড়া এবং স্প্যানিশ কালাবাচীন। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।
নিজের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আল আমীন মিয়া এসব সবজি বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়েছেন। গত রোববার (২১ অক্টোবর এসব সবজি দেওয়ার জন্য কয়েকজন প্রবাসীকে তিনি নিয়ে যান তার চাষকৃত জমিতে। তাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুন্দর, গ্রেটার ঢাকা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহেল ভূঁইয়া, গ্রেটার সিলেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান, কমিউনিটি নেতা এস এম মাসুদ, খলিলুর রহমান, মো. ইকবাল ও সাঈদ আনোয়ার প্রমুখ। তারা যে যার মতো সংগ্রহ করেন সবজি।
স্থানীয়দের কাছে এসব সবজি অপরিচিত হলেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আল আমীন মিয়ার উৎপাদিত সবজি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দেশীয় স্বাদ পেতে অনেকেই এই সবজি সংগ্রহ করছেন।
আল আমিন মিয়া বলেন, এখানে সার বা পানির তেমন সমস্যা নেই। মাটি খুবই উপযোগী সবজি ফলনের জন্য। তাই বাংলাদেশি যে কেউ ইচ্ছে করলে সবজি চাষ করতে পারেন। এতে দেশীয় শাক-সবজির স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্যবসায়ী আল আমীন মিয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা ফ্রুটাসের চেয়ারম্যান।