সবুজ মেঘের ছায়া-নয়

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

খুব ভোরে ঘুম থেকে না উঠলেও সকাল সকালই নাবিদ ঘুম থেকে ওঠে। এই অভ্যাসটা তার গত চার বছর ধরে। আগে অবশ্য তার সকালে ওঠার ধরাবাঁধা নিয়ম ছিল না। তখন সে ট্যাক্সি চালাত। নিজেরই ট্যাক্সি ছিল। নিজের ট্যাক্সি হলে কাজের কোনো সময়সূচি থাকে না। যখন ইচ্ছে কাজে নামা যায়। যখন ইচ্ছে কাজ বন্ধ করে বাসায় চলে আসা যায়।

ট্যাক্সির জমানো টাকা দিয়েই নাবিদ চার বছর আগে আনিস মাহমুদের কাছ থেকে দোকানটা কিনে নিয়েছে। কনভিনিয়েন্স স্টোর। তিরাপা মিনিমার্ট। দোকানের নামটা পরিবর্তন করে নাবিদ জুঁই মিনিমার্ট রাখার চিন্তা-ভাবনা করেছিল। কিন্তু সিটি কাউন্সিলের ঝামেলা থাকায় পরে আর নাম পরিবর্তন করা হয়নি।

দোকানটা না কিনলে নাবিদ এখনো ট্যাক্সিই চালাত। ট্যাক্সি চালিয়েই সে হ্যামিল্টনের ডিন্সডেলে একটা বাড়ি কিনেছে। দোকানটা কেনার সময়ও সে কোনো ব্যাংক ঋণ না নিয়ে ক্যাশে কিনেছে।

নাবিদ গ্লেন ভিউর বাড়িটা অবশ্য কিনেছে ট্যাক্সির শেয়ারটা বিক্রি করে ও দোকানের লাভ দিয়ে। দোকানটা কেনার তার মোটেও পরিকল্পনা ছিল না। আনিস মাহমুদের সঙ্গে নাবিদের বেশ ওঠাবসা। আনিস মাহমুদের স্ত্রী নাজমা ভাবির সঙ্গে জুঁইয়ের ভালো সম্পর্ক। একদিন আনিস মাহমুদ এসে তার পারিবারিক সমস্যার কথা তুলে নিজ থেকে নাবিদকে দোকানটা কেনার প্রস্তাব দেন। নাবিদ অনেকটা নামমাত্র দামেই দোকানটা কিনে নেয়।

দোকান কেনার পরও নাবিদ কিছুদিন ট্যাক্সি চালিয়েছিল। পরে দোকান আর ট্যাক্সি একসঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে ট্যাক্সি চালানো ছেড়ে দেয়। ট্যাক্সির শেয়ার ও গাড়ি বিক্রি করে এবং দোকানের এক বছরের লাভ দিয়ে সে গ্লেন ভিউর বাড়িটা কেনে।

গতরাতে অনেক রাত করে ঘুমালেও সকালেই নাবিদ ঠিক সময়েই ঘুম থেকে উঠল। শীতের শুরু। কিন্তু এখনো হাড় কাঁপানো শীত শুরু হয়নি। যদিও তাপমাত্রা সকালের দিকে চার-পাঁচ ডিগ্রিতে নেমে আসে। যখন পুরোপুরি শীত শুরু হবে, তখন হ্যামিল্টনের তাপমাত্রা শেষরাতের দিকে বা সকালের দিকে পাঁচ-ছয় ডিগ্রি হিমাঙ্কের নিচে নেমে আসে। এবারে শীতটাও তেমন বৃষ্টি দিয়ে শুরু হয়নি।

বাইরে আজ বেশ ঝকঝকে তকতকে রোদ উঠে গেছে। যদিও ঘাসের ওপর বিন্দু বিন্দু শিশির। নাবিদ গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করল। বাসা থেকে তার দোকানে যেতে বিশ মিনিট সময় লাগে। কখনো কখনো আবার বেশি সময়ও লেগে যায়। নির্ভর করে রাস্তার যানজটের ওপর।

আজ অবশ্য নাবিদ রাস্তা ফাঁকা পেল। বিশ মিনিটের মধ্যেই সে গাড়ি টেনে দোকানে চলে এল। দোকান খুলল ঠিক সাড়ে সাতটায়।

দোকানের সিকিউরিটি অ্যালার্ম বন্ধ করে, দোকানের সমস্ত দরজার পাট খুলে, বিভিন্ন পণ্যের সাইনবোর্ডগুলো দোকানের সামনে দাঁড়া করিয়ে নাবিদ সুস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ভাবল, নাশতা করার আগে সে দোকানের বাকি কাজগুলো সেরে নেবে। এখনো দোকানে লোকজন আসা শুরু হয়নি। এমনিতে এই সকালে দু-চারজন যা কাস্টমার আসে, তারা আসে দুধ, রুটি, সিগারেট বা পত্রিকা কিনতে। এ ছাড়া আজ সোমবার। সোমবার সকাল। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ উইক এন্ডে নাইটক্লাবে গিয়ে, বারে মদ খেয়ে, নারীদের বগলদাবা করে সমস্ত টাকা উড়িয়ে দিয়ে সোমবার থেকে খালি হাতে কাজ শুরু করে। এখানে সবার বেতন দেওয়া হয় সপ্তাহ শেষে। বাংলাদেশের মতো মাস শেষে নয়।

নাবিদ সাড়ে সাতটার দিকে দোকান খুললেও দোকানের পেছনের স্টোর রুমে পেপারওয়ালা পেপার, দুধওয়ালা দুধ, ব্রেডওয়ালা ব্রেড শেষরাতের দিকে বা ভোর হওয়ার আগেই দিয়ে যায়। তাদের সবার কাছে স্টোর রুমের বাড়তি চাবি আছে।

দোকানের স্টোর রুম ও দোকানের মাঝখানে তার অফিস রুম। নাবিদের অফিস রুমটা খুব একটা বড় না হলেও বেশ গোছালো। জুঁই-ই সব সময় গুছিয়ে রাখে। অফিস রুমের একপাশে একটা ছোট্ট বেসিন। ছোট্ট একটা বেঞ্চটপ। বেঞ্চটপের পাশে মাঝারি আকৃতির ফ্রিজ। ফ্রিজের ওপর মাইক্রোওয়েভটা রাখা। অফিস রুমের অন্যপাশে একটা লম্বা সোফা। কম্পিউটার ডেস্কটা সোফার মাথা বরাবর। পাশেই একটা বুক শেলফ। পুবের দেয়ালে একটা বত্রিশ ইঞ্চি এলইডি টিভি ঝুলিয়ে রাখা।

নাবিদ স্টোর রুম থেকে দুধের কন্টেইনারগুলো চিলারের শেলফে রাখল। পত্রিকাগুলো এনে স্ট্যান্ডে থরে থরে সাজাল। ব্রেডগুলোও একটা শেলফে সারি সারি করে সাজিয়ে রাখল।

নাবিদ আবারও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে সমস্ত দোকানটাতে একবার চোখ বুলিয়ে অফিস রুমে গিয়ে ঢুকল। অফিস রুমের ফ্রিজে অর্ধেক খোলা একটা টুনা ফিসের ক্যান আছে। সে দুই স্লাইস ব্রেডে সেই টুনা ফিসটা চামচে নিয়ে সামান্য মেয়োনাইজ ঢেলে নিয়ে একটা স্যান্ডউইচ বানাল। বেসিন থেকে হট ওয়াটার জগ পানি নিয়ে জগটা অন করে দিল।

জগের পানিতে কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঁদ বুঁদ শব্দ করে শিস দিয়ে ধোঁয়া বের হতে শুরু করল। এরই মধ্যে নাবিদ একটা কাপ নিয়ে কফির কৌটা থেকে এক চামচ কফি ও চিনির কৌটা থেকে দুই চামচ চিনি নিল। সে আজ ব্ল্যাক কফি বানাবে বলে কফিতে দুধ মেশাল না।

কফি বানানো শেষ হলে নাবিদ কফির কাপ ও স্যান্ডউইচ হাতে নিয়ে আয়াস করে সোফায় গিয়ে বসল। কম্পিউটার অন করতে গিয়ে সে অন করল না। টিভিটা চালু করে দিল।

সকালের নাশতা নাবিদ সব সময় দোকানেই করে। তবে সে একা নাশতা করে। দুপুরের খাবার সে দোকানে খেলেও জুঁই প্রায়ই তার সঙ্গে থাকে। জুঁই কখনো বাসা থেকে খেয়ে নাবিদের জন্য টিফিন ক্যারিয়ারে দুপুরের খাবার নিয়ে আসে। আবার কখনো জুঁই দোকানে এসে নাবিদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খায়। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকেল তিনটা-সোয়া তিনটা পর্যন্ত নাবিদ দোকান চালায়। তিনটা-সোয়া তিনটার পর জুঁই মৌনতাকে স্কুল থেকে তুলে এনে দোকানে বসে।

জুঁই এলে নাবিদ তখন ব্যাংকিং বা অফিসের কাজগুলো করতে যায়। কখনো অ্যাকাউন্ট্যান্টের সঙ্গে দেখা করে। কখনো ট্যাক্স অফিসে জিএসটি দিতে যায়। এ ছাড়া, সে সেই সময়টায় তাদের দোকানের জন্য বড় বড় সুপারমার্কেট থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে আসে। তারা দোকান সব সময় আটটার দিকে বন্ধ করে। প্রতি রোববার তাদের দোকান বন্ধ থাকে।

নাবিদের ইচ্ছে ছিল অন্তত শনিবার বা রোববারে তার দোকান চালানোর জন্য কাউকে পার্টটাইম হিসেবে রাখতে। সে যদি কাউকে এই দুদিনের জন্য পার্টটাইম হিসেবে রাখতে পারত, তাহলে রোববারে দোকান বন্ধ রাখতে হতো না। শনিবারটাও সে জুঁই ও মৌনতাকে নিয়ে ছুটি কাটাতে পারত। কিন্তু জুঁই অন্য কাউকে দিয়ে দোকান চালাতে বিশ্বাস করে না। তার ধারণা, অন্য কেউ কাজ করতে এলে দোকানের এটা-সেটা চুরি করবে। টাকাপয়সা মেরে দেবে।

নাবিদ জানে, সেটা মোটেও সম্ভব নয়। দোকানে সিকিউরিটি ক্যামেরা আছে। সবকিছু রেকর্ড হচ্ছে। তবুও জুঁইকে নাবিদের প্রাধান্য দিতে হয়। জুঁই অর্ধেক বেলা দোকানে না বসলে তার দ্বারা সম্ভব হতো না দোকানটা পুরোদিন চালানো।

স্যান্ডউইচটা খাওয়া পর্যন্ত নাবিদ তার দোকানে কোনো কাস্টমার ঢুকতে দেখল না। ওদিকে দোকানের সামনের দরজার পাট সব খোলা। যদিও দরজার সামনে সেন্সর ম্যাট আছে। কোনো কাস্টমার দোকানে ঢোকা মাত্রই সেন্সর ম্যাটে শব্দ হয়—টুং টুং, টুং টুং। এ ছাড়া সিকিউরিটি ক্যামেরার ছোট্ট সিসি টিভিটাও অফিস রুমের একপাশের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা। সে অফিস রুমে বসেই কাস্টমারের আসা-যাওয়া দেখতে পারে।

স্যান্ডউইচ শেষ করে নাবিদ কফির কাপে চুমুক দিতে যাবে ঠিক তখন সে সিসি টিভিতে দেখল একজন কাস্টমার দোকানে ঢুকছেন। দরজার সেন্সর ম্যাটে শব্দ হলো—টুং টুং, টুং টুং।

নাবিদ কফির কাপটা কম্পিউটার টেবিলের একপাশে রেখে কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়াল। একজন সিগারেট কেনার কাস্টমার। প্রথম কাস্টমারের পরপরই দ্বিতীয় আরেকজন ঢুকলেন। দ্বিতীয় কাস্টমারটা একটা ওয়াইকাটো টাইমস পত্রিকা কিনলেন।

নাবিদ আরও কিছুক্ষণ কাউন্টারে দাঁড়াল। আর কোনো কাস্টমার নেই। সে আবার অফিস রুমে ঢুকে কম্পিউটার ডেস্কের ওপর থেকে কফির কাপটা নিয়ে কফিতে চুমুক দিল। এভাবে সারা দিনই জুঁই ও সে কাউন্টার আর অফিস রুমে আসা-যাওয়া করে। এসব কনভিনিয়েন্স স্টোর বা মিনিমার্টগুলোতে সাধারণত কাস্টমাররা আসে এক প্যাকেট সিগারেট কিনতে। একটা দুধের কন্টেইনার বা একটা ব্রেড কিনতে। একটা কোকাকোলার বোতল, একটা কলম, একটা চিপস বা বিস্কুটের প্যাকেট কিনতে। ট্যাক্সির মতো এসব দোকানে কাচা পয়সা নেই। কিন্তু তারপরও দেখা যায়, দিনের শেষে আড়াই তিন হাজার ডলার বেচাকেনা হয়।

কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে নাবিদের নদীর কথা মনে পড়ল। গতরাতে নাবিদ জুঁইয়ের সঙ্গে নদীকে নিয়ে জরুরি আলাপ করেছে। জুঁই নদীকে বাসায় রাখার ব্যাপারে প্রথম থেকে একেবারেই আগ্রহ দেখায়নি। যদিও নদী নাবিদের বাসায় থাকবে, এ ব্যাপারে কখনোই কিছু বলেনি। নাবিদ মনে মনে নিজ থেকে নদীকে বাসায় রাখতে একটা ইচ্ছে পোষণ করছে। নদী তার রাজীব চাচার মেয়ে। তার চার বেডরুমের বাসার দুটো রুমই খালি পড়ে আছে। কিন্তু জুঁই আগ্রহ না দেখালে তো নদীকে বাসায় রাখা মোটেও সম্ভব নয়।

তবে দোকানের ব্যাপারে জুঁই প্রথমে আপত্তি জানালেও পরে মৌন সম্মতি দিয়েছে। এর পেছনে নাবিদ অবশ্য সুন্দর একটা যুক্তি দেখিয়েছে। রোববারে তার দোকান বন্ধ থাকে। দোকান বন্ধ থাকলে তো ব্যবসারই ক্ষতি। দোকান খোলা থাকলে বরং বেচাকেনা থেকে যা দু-চার পয়সা আসবে, তা থেকে নদীকে একদিনের বেতন দিয়ে সমান সমান বা কিছু লাভ থাকে এতে ক্ষতি কী? দোকান খোলা থাকল, নদীকেও কিছু সহযোগিতা করা গেল।

এ ব্যাপারে যদিও নাবিদ নদীর সঙ্গে কথা বলেনি। শুধুমাত্র গতরাতে জুঁইয়ের সঙ্গে এ প্রসঙ্গটা নিয়ে আলাপ করেছে। তাই নাবিদ নদীকে একটা ফোন দেওয়ার কথা ভাবল। ভাবতে ভাবতেই সে মোবাইল হাতে নিয়ে সে নদীকে ফোন দিল।

ওপাশে তিনবার রিং বাজতেই নদী ফোন ধরল।

নাবিদ বলল, হ্যাঁ নদী, আমি তোমার নাবিদ ভাইয়া।

: জি ভাইয়া, আপনার মোবাইল নম্বর সেভ করা আছে।

: হুম শোনো, তুমি কি এখন ব্যস্ত? কী করছ?

: জি না, ব্যস্ত না ভাইয়া। আমি নাশতা করছিলাম।

: তোমার ক্লাস নেই?

: আছে। তবে দশটায় ক্লাস। এর আগে আমি একটু আমাদের ইউনিভার্সিটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে যাব।

: এখন কি একটু কথা বলা যাবে?

: জি ভাইয়া। এখন তো সবে সাড়ে আটটা বাজে। হাতে সময় আছে। কী কথা বলতে চান?

: একটা কাজের ব্যাপারে। এর আগে তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি। তুমি তো মনে হয় এখন কোথাও জব করো না, তাই না?

: জি না। জব পাব কোথায়? হ্যামিল্টন শহরে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জব পাওয়া মানে সোনার হরিণ হাতে পাওয়া। এ ছাড়া এখানে জব করতে হলে নিজের গাড়ি লাগে। আমি অবশ্য বাংলাদেশ থেকে আসার পরপর প্রথম ছয় মাস জবের জন্য চেষ্টা করেছিলাম। পরে কোথাও জব না পেয়ে গিভ আপ করেছি। গত দেড় বছর ধরে আর কোথাও চেষ্টা করিনি। স্কলারশিপ হয়ে যাওয়ার পর আর জবের চেষ্টা করিনি। জানি জব পাব না, তাই হয়তো।

: আমি যদি একটা জবের ব্যবস্থা করি, তুমি করবে?

: অবশ্যই করব। আমার ভিসাতে তো সপ্তাহে বিশ ঘণ্টা কাজ করার পারমিশন আছেই।

নাবিদ ফোনের এপাশে মাথা মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, ঠিক আছে আমি তোমার একটা কাজের ব্যবস্থা করি। আপাতত তুমি রোববারে কর। পরে আমি শনিবারেও তোমার ব্যবস্থা করে দেব।

নদী উৎফুল্ল হয়ে বলল, তাহলে তো দারুণ। থ্যাংক ইউ ভাইয়া। কিন্তু জবটা কোথায়?

নাবিদ বলল, আমার দোকানে।

নদী একটু দমে গিয়ে বলল, আপনার দোকানে!

নাবিদ জিজ্ঞেস করল, কী, কোনো অসুবিধা আছে?

: না, কী অসুবিধা থাকবে। কিন্তু...।

: কিন্তু কী?

: কিছু না ভাইয়া।

নাবিদ বলল, রোববারে তো আমার দোকান বন্ধ থাকে। তাই ভাবছি, রোববারে দোকানটা বন্ধ না রেখে খোলা রাখব। তুমি সকাল থেকে সারা দিন চালাবে। দরকার হলে আটটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখবে। আর না হলে পাঁচটায় বন্ধ করে দেবে। আস্তে আস্তে দোকানের কাজটা বুঝে গেলে শনিবারে দায়িত্বটাও তোমার হাতে ছেড়ে দেব। গত চার বছর ধরে শনিবারে আমরা কোথাও যেতে পারি না।

নদী একটু নিষ্প্রভ গলায় বলল, আচ্ছা, ভাইয়া। (ক্রমশ)

মহিবুল আলম: গোল্ড কোস্ট, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া। ইমেইল: <[email protected]>