ব্রিসবেনে বাংলা স্কুলের পুরস্কার বিতরণী

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা।’ জি হ্যাঁ, প্রশান্ত পাড়ে বাস করলেও আমরা ব্রিসবেনবাসী বাংলাদেশিরা বাংলা ভাষাকে লালন করে একটি বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের সেই প্রাণের ব্রিসবেন বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল ১০ নভেম্বর সোমবার আয়োজন করেছিল বার্ষিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণীর (annual function & award program)। বিকেলে চ্যাপেল হিল স্টেট স্কুলে দর্শকেরা উপস্থিত হয়ে রীতিমতো চমকে গেছেন, স্কুলের ছেলেমেয়েদের তিন ঘণ্টাব্যাপী এমন গোছানো আর প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান দেখে।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সাঈদা চৌধুরী রানু, সাবিনা নুর আঁখি, নাহিদ শবনম নিঝুম ও নুসরাত জাহান অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সঞ্চালক হিসেবে নানা চমকিত কৌশলের বেড়াজালে দর্শক মোহিত করে রেখেছে দারুণ যত্নে। ফাঁকে ফাঁকে প্রাক্তন সভাপতি মাহি মোর্শেদ অণুকেও মাইক্রোফোন হাতে স্টেজে পুরস্কার ঘোষণা করতে দেখা গেল।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

বিরতির আগে ব্রিসবেন বাংলা ল্যাংগুয়েজ স্কুল নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাঈদ চৌধুরী স্কুলের অতীত (সূচনা সাল ২০০২) ও বর্তমান নিয়ে সুন্দর একটি বক্তব্য দেন। বিরতির ফাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শাহীন আক্তার শিমুল। যিনি কিনা স্কুলটিকে শুরু থেকেই মায়ের মমতায় আগলে রেখেছেন সবকিছুর ঊর্ধ্বে।

পুরস্কার হাতে শিক্ষার্থীরা
পুরস্কার হাতে শিক্ষার্থীরা

অনুষ্ঠান শুরু হয় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে। এরপর একে একে স্কুলের ছোট্ট শিক্ষার্থী থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থী পর্যন্ত সবাই নাচে গানে কবিতায় নিমগ্ন করে রাখে দর্শকদের। নিজস্ব প্রতিভাবানদের প্রদর্শিত এমন মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান ব্রিসবেনের বাংলাদেশিরা আগে আর দেখেছেন কিনা সন্দেহ!

অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য

পুরো অনুষ্ঠানের পরতে পরতে চমক থাকলেও বিশেষ চমক ছিল শেষের অংশে। এ সময় বেশ কয়েকটি নাটিকা মঞ্চস্থ হয়। প্রথমটি করে বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা—বাংলা ভাষা নিয়ে। এটি রচনায় ছিলেন রাহমান মুন্না ও তুলি নুর। নাটকটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল স্কুলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ প্রাক্তন ছাত্রী নুশীন আলম। বাকি মঞ্চস্থ হওয়া নাটিকাগুলোতে অভিনয় করেন অভিভাবকেরা। রচনায় ছিলেন রাহমান মুন্না ও পরিকল্পনায় সাঈদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য

শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন স্কুলের আরেক অন্যতম ভলান্টিয়ার আবু ফরহাদ রিপন। ভিডিওগ্রাফিতে ছিলেন বাপ্পী হুসাইন। আর পুরো অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যমণ্ডিত করার পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে যে দুজন তারা হলো নুশিন আলম আর নাহিলা রহমান।