সবুজ মেঘের ছায়া-উনিশ

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

পরিস্থিতিটা নাবিদের কাছে মোটেও স্বস্তির নয়। জুঁই নদীর সম্বন্ধে কঠিন কিছু কথা বলে অফিস রুমে চলে গেছে। মৌনতাও জুঁইয়ের সঙ্গে এখন অফিস রুমে। নাবিদ এখন কাউন্টারের পেছনে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

নাবিদ ভাবল, সে কীভাবে নদীকে এসব কথা জিজ্ঞেস করবে? মাত্রই তো সেদিন জানাশোনা হলো। আরেকটু পুরোনো হলে না হয় সে অধিকারটুকু খাটাতে পারবে। কিন্তু এখন!

এখন নাবিদ জুঁইয়ের কথা না শুনলে মহা সমস্যা। বাসার কথা যদি বাদই দেওয়া যায়, সে দোকানটা চালাবে কীভাবে? জুঁই অর্ধেক দিন দোকানে বসে বলেই সে দোকানটা চালাতে পারে।

আজকের দিনটা পুরোই ফাঁকা। দোকানে কাস্টমার কখনো আধা ঘণ্টায় একজন আসে তো, কখনো এক ঘণ্টায়তেও একজন আসে না। নাবিদ কাউন্টারের পেছনে হেলান দিয়ে দোকানের সামনের দরজা দিয়ে বাইরে তাকাল। বাইরে তাকানো মাত্রই দেখল, আনিস মাহমুদ একগাল হেসে দোকানে ঢুকছেন। দোকানে ঢুকেও আনিস মাহমুদ আরও একগাল হাসলেন।

নাবিদ সৌজন্যে হেসে জিজ্ঞেস করল, কী ব্যাপার আনিস ভাই, এত খুশি যে?

আনিস মাহমুদ বললেন, আরে না, এমনিই। আমি এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম, আমার দোকানটা একবার দেখে যাই।

নাবিদ দেখেছে, আনিস মাহমুদ দোকানকে সত্যি প্রচণ্ড ভালোবাসেন। দোকানে এলে এখনো নিজের দোকান মনে করে কথা বলেন। তিনি কখনই বলেন না, নাবিদ, এটা তোমার দোকান। অথচ নাবিদ আনিস মাহমুদের কাছ থেকে এই দোকানটা কিনেছে চার বছর আগে।

নাবিদ বলল, বেশ ভালো করেছেন। বসেন, টুলটা টেনে বসেন।

আনিস মাহমুদ বিনা বাক্যেই টুলটা টেনে বসলেন।

নাবিদ জিজ্ঞেস করল, কী খবর আপনার, বলেন।

: কী খবর জানতে চাও?

: না মানে, অনেক দিন পর দোকানে এলেন?

: আসলে সময় পাই না।

: কী এমন কাজ করেন? আমরা মাঝখানে মাউন্ট পিরংগিয়াতে গেলাম। বাপ্পি আপনাকে ফোন দিয়েছিল। আপনি বলেছিলেন যাবেন। কিন্তু পরে আপনি কেন যাননি?

আনিস মাহমুদ বললেন, আরে বলো না। যাওয়ার ইচ্ছে তো ছিলই। বাসা থেকে রওনা হয়েছিলাম। পরে বাপ্পির মোবাইলে ফোন দিয়ে জানতে পারি, নাজমা, মানে তোমার ভাবি যাচ্ছে। তাই যাওয়া বাতিল করে দিয়েছি।

নাবিদ জিজ্ঞেস করল, নাজমা ভাবির যাওয়ার সঙ্গে আপনার যাওয়ার সম্পর্ক কী? তিনি তার মতো যাবেন। আর আপনি যাবেন আপনার মতো।

: কী যে বল না। সম্পর্ক তো একটা আছেই। যদি সবার সামনে সে আমার সঙ্গে ঝগড়া-ফ্যাসাদ বাঁধিয়ে বসে? তুমি তোমার ভাবিকে তো চেনই।

: আমি ভাবিকে অবশ্যই চিনি। তবে আনিস ভাই, একটা কথা কী, সব সমস্যার সৃষ্টিকারী কিন্তু আপনি। আপনি নিজে ঠিক না হলে এই সমস্যার সমাধান কোনো দিনই হবে না।

: আরে নাবিদ, তুমি কী সব যে বলছ!

অফিস রুম থেকে জুঁই গলা বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, তুমি কার সঙ্গে কথা বলছ?

নাবিদ বলল, আনিস ভাই এসেছেন।

জুঁই বলল, ও। বলেই সে চুপ হয়ে গেল।

নাবিদ জুঁইয়ের এই চুপ হয়ে যাওয়ার কারণ বুঝতে পারল। এটা ঠিক, আনিস মাহমুদ সচরাচর দোকানে আসেন না। কিন্তু একবার যখন আসেন, তখন সারা দিন আর যাওয়ার নাম করেন না।

নাবিদ বলল, আনিস ভাই, বসুন, আমি চা বানিয়ে নিয়ে আসছি। চায়ের সঙ্গে কী খাবেন? টোস্ট বিস্কুট আছে।

: আরে না না, আমি তো দোকানে তোমার সঙ্গে এমনিই গল্প করতে এসেছি। আমি বরং এখানে বসি। তুমি পেছনে যাও। কাস্টমার এলে আমি দেখব।

: আপনাকে আর কাস্টমার দেখতে হবে না। আপনি বসে আমার সঙ্গে গল্প করুন। দুপুরে আমাদের সঙ্গে খেয়ে যাবেন।

: জুঁই কি বাসা থেকে রান্না করে নিয়ে এসেছে?

: না। আজ আমার এক কাজিন দোকানে আসবে। আমরা পাশের ওই চাইনিজ ফার্স্ট ফুড রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার এনে খাব।

: না, না। আমি অত ক্ষণ বসব না। তোমার আবার কাজিন এল কোথায় থেকে?

: ও, আপনি জানেন না মনে হয়। আমার এক কাজিন থাকে হ্যামিল্টনে। ওয়াইকাটো ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিঙে মাস্টার্স করছে। মাস্টার্স শেষ করে পিএইচডিও করবে। বাংলাদেশে সে বুয়েটে লেখাপড়া করেছে।

: হ্যামিল্টনে নতুন এসেছে?

: না, দুই বছর হয়ে গেল হ্যামিল্টনে থাকে।

: এত দিন তো বলনি?

: আমি জানতাম না তো।

: এটা আবার কী কথা?

: হ্যাঁ, ঠিকই বলছি। ওই যে মাউন্ট পিরংগিয়ায় গেলাম না? ওখানে কথায় কথায় পরিচয় হয়।

আনিস মাহমুদ নাবিদের কথা ঠিক বুঝতে পারলেন না। তারপরও মাথা ঝাঁকালেন। জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাজিন কি তোমার বাসায় থাকে?

নাবিদ বলল, না, নাজমুল ভাইয়ের বাসায় থাকে। ওই যে শেয়ারউড পার্কে যে নাজমুল ভাই থাকেন? নাজমুল আহসান।

আনিস মাহমুদ এক মুহূর্তের জন্য চুপ হয়ে গেলেন। তারপর কী ভেবে বললেন, আমি মনে হয় তোমার কাজিনকে দেখেছি। কারাপিরো লেকে আমাদের কমিউনিটির পিকনিকে গিয়েছিল। কিন্তু...?

: কিন্তু কী আনিস ভাই?

: না, কিছু না।

: আহা, বলেন না।

: না মানে, কথাটা বেবুন ভাবির মাধ্যমে ছড়িয়েছে। তোমার কাজিন নাকি...?

জুঁই তখনই সাঁই করে অফিস রুম থেকে এসে আনিস মাহমুদকে থামিয়ে দিয়ে বলল, আনিস ভাই, মনে কিছু নেবেন না। কোনো কিছু না জেনে কথা বলা উচিত না। বেবুন ভাবির কথার সত্যতা কী?

আনিস মাহমুদ বললেন, না, বলছিলাম কী! আচ্ছা থাক।

নাবিদ জুঁইয়ের দিকে তাকাল। কতক্ষণ আগেই জুঁইয়ের আচরণে সে মনে মনে খানিকটা ক্ষুব্ধ হলেও এখন তার জুঁইকে বেশ ভালো লাগছে। এই ভালো লাগা-মন্দ লাগা নিয়েই সে চৌদ্দটা বছর সংসার করছে।

নাবিদ জুঁইয়ের দিকে তাকিয়ে থেকে মৃদু হাসল।

আনিস মাহমুদ যেকোনো কারণেই হোক আজ বেশিক্ষণ না বসে চলে গেলেন। নাবিদ আনিস মাহমুদের এভাবে চলে যাওয়ায় মনে মনে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে গেল। কিন্তু জুঁই আস্তে করে ডেকে উঠল, ভাদাইম্যা।

জুঁই আনিস মাহমুদকে ভাদাইম্যা ডাকুক আর যাই ডাকুক, এক কালে যে তিনি কী মেধাবী ছাত্র ছিলেন, তা আর কেউ না জানুক নাবিদ জানে। আর জানে বাপ্পি ও তানিয়া। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে তিনি রেকর্ড পরিমাণ মার্কস নিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছিলেন। বিশেষ করে মাস্টার্সের রেজাল্টের জন্য তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোল্ড মেডেল পেয়েছিলেন।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতে না হতেই গাজীপুরের রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে সরাসরি চাকরি পান। বছরখানিক পরই ফিনল্যান্ডের একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার জন্য স্কলারশিপ পান। কিন্তু আনিস মাহমুদ এসব কিছু ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে অভিবাসী হয়ে চলে আসেন।

নিউজিল্যান্ডে এসেও আনিস মাহমুদ একটা বড় হর্টিকালচার ফার্মে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরি পান। কাজটাতে অফিশিয়াল কাজ বাদে বাইরের কাজই বেশি ছিল। বাইরে ঠাঠা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ। নিউজিল্যান্ডে প্রায় প্রত্যেকটা চাকরিতে সবাইকে প্রয়োজনে সব কাজ করতে হয়। এমনও দেখা যায়, অফিসের ক্লিনার আসেনি। অফিসের প্রধান বস অফিস ক্লিন করতে লেগে গেছেন। ব্যাংকের কর্মচারীরাও ব্যস্ত, প্রয়োজনে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজে রুম থেকে বের হয়ে এসে বিনয়ের সঙ্গে কাস্টমারের কাছে ক্ষমা চেয়ে কাস্টমার সার্ভিস দিতে শুরু করেন। এখানে সাংসদ বা মন্ত্রীরা নিজের ব্রিফকেস নিজে টানেন। নিজের গাড়ি নিজে চালান।

কিন্তু আনিস ভাইয়ের শরীরে তো বাঙালি রক্ত! বাংলাদেশের যে অফিসে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে জয়েন করেছিলেন, সেখানে তার জনা দশেক কর্মচারী, একজন পিয়ন ও একজন ড্রাইভার ছিল। নিউজিল্যান্ডের সেই হর্টিকালচার ফার্মের জয়েন করার পর আনিস মাহমুদের মধ্যে তাই বাংলাদেশের সেই অফিসারদের মন-মানসিকতা কাজ করছিল। তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হয়ে তাকে খামারে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হবে? চাকরিটার সঙ্গে নিজেকে সামঞ্জস্য করতে না পেরে তিনি বছরখানিক পর চাকরিটা ছেড়ে দেন।

তারপর দুই বছর আনিস মাহমুদ হ্যামিল্টনে ট্যাক্সি চালিয়ে ও নিজের কিছু জমানো টাকা দিয়ে দোকানটা কিনে নেন। দোকানটা তিনি আট বছরের মতো চালান। কিন্তু শেষে নাজমা ভাবির সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলায় পরে চার বছর আগে তিনি দোকানটা নাবিদের কাছে বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দেন।

দোকানটা বিক্রি করার পর আনিস মাহমুদের সংসারজীবনে আরও অধঃপতন নেমে আসে। গত দুই বছর ধরে তিনি নাজমা ভাবির সঙ্গে সেপারেশনে আছেন। ছেলেমেয়ে দুটো নাজমা ভাবির সঙ্গেই থাকে।

আজ আনিস মাহমুদ সরকারি বেকার ভাতা নিয়ে খুবই স্বল্প পয়সায় জীবিকা নির্বাহ করছেন। ভবঘুরের মতো জীবনযাপন করছেন। অথচ তার মতো একজন মানুষ জীবনের সিঁড়ি টপকিয়ে কোথায় থেকে কোথায় ওঠার কথা ছিল!

এ ধরনের মানুষগুলোর জন্য নাবিদের খুব কষ্ট হয়। নাবিদের আরও কষ্ট হয় আনিস মাহমুদের স্ত্রী নাজমা ভাবির জন্য। নাজমা ভাবি আর আনিস মাহমুদ ক্লাসমেট ছিলেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকেই অনার্স ও মাস্টার্স করেছিলেন। তবে অনার্সে পড়া অবস্থায়ই তাদের গোপনে বিয়ে হয়ে যায়। সেটা ছিল তাদের ভালোবাসার বিয়ে। পরে অবশ্য আনিস মাহমুদ যখন বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের চাকরিটা পেলেন তখন ঘটা করে বিয়ে করেন। নিউজিল্যান্ডেও অভিবাসী হয়ে পাড়ি দেন এক সঙ্গেই। আজ তাদের দুটো ছেলেমেয়ে। মেয়ে প্রিয়তি ও ছেলে প্রান্ত। তাদের আজ দুটো ছেলেমেয়ে নিয়ে একটা চমৎকার সুখের সংসার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা তাদের হচ্ছে না।

মানুষের জীবনের কিছু কিছু ব্যাপার নাবিদের মাথায় ধরে না। কোনো কোনো মানুষ জীবনের পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে খুব সুখী হওয়ার কথা। কিন্তু সেই মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি দুঃখী হয়। আবার কোনো কোনো মানুষ পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে দুঃখী হওয়ার কথা। কিন্তু সেই মানুষটাকে দেখা যায় সবদিক দিয়ে সুখী।

আনিস মাহমুদ ও নাজমা ভাবির দাম্পত্যজীবনে সমস্যাটা কোথায়, কেউ জানে না। যখন কোনো দাম্পত্য জীবনে ভাঙন আসে, এর পেছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকে। এই কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হলো, কোনো তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি। কিন্তু নাবিদ-জুঁই বা বাপ্পি-তানিয়া সবাই নিশ্চিত যে, অন্তত আনিস মাহমুদ ও নাজমা ভাবির মধ্যে কোনো তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি নেই। যদি থাকত তাহলে এই দুই বছরে অবশ্যই প্রকাশ পেয়ে যেত। এ ছাড়া তাদের দুজনেরই বয়স এখন পঞ্চাশের ওপরে। এ বয়সে মানুষদের এমন কোনো বাড়তি চাহিদা ও মোহ থাকে না যে সেই চাহিদা ও মোহের কারণে একজন আরেকজনকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। আনিস মাহমুদ অনেকটাই খেয়ালি টাইপের। জুঁই কিছুক্ষণ আগে যা বলল, ভাদাইম্যা! কিন্তু আনিস মাহমুদের এই স্বভাবটা নিশ্চয়ই আজকের নয়?

নাবিদের খারাপ লাগে আনিস মাহমুদ ও নাজমা ভাবিরে ছেলেমেয়ে দুটোর জন্য। প্রিয়তি বড় হচ্ছে। এক সময় প্রিয়তি বেশ উৎফুল্ল ও হাসিখুশি স্বভাবের ছিল। কিন্তু আজকাল সে কেমন চুপচাপ একা থাকতে পছন্দ করে। কোথাও কোনো অনুষ্ঠানে গেলে কারও সঙ্গে তেমন কথা বলে না। এমনকি তার বয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গেও না। প্রান্ত এখনো ছোট। মাত্র দশ বছর। এখনো সে অত-শত বোঝে না। তারপরও প্রান্ত কেমন চুপচাপ হয়ে গেছে।

নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী সেপারেশনে থাকার পর ডিভোর্সে যেতে পারে। আনিস মাহমুদ ও নাজমা ভাবি প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে সেপারেশনে আছেন। এখন যদি তারা একে অপরকে ডিভোর্স দেন তাহলে কেউ অবাক হবেন না। ব্যাপারটা স্বাভাবিক হিসেবেই ধরে নিবেন।

এরই মধ্যে বারোটা বেজে গেছে নাবিদ খেয়াল করেনি। নদী ঠিক বারোটার সময়ই দোকানে এল। নদী দোকানের দরজা দিয়ে ঢুকতেই জুঁই এগিয়ে গিয়ে হাসি হাসি চেহারা করে বলল, আস ননদিনি, আস!

নদীর প্রতি জুঁইয়ের এই আন্তরিকতা নাবিদের বেশ ভালো লাগল। (ক্রমশ)

মহিবুল আলম: গোল্ড কোস্ট, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া। ইমেইল: <[email protected]>

ধারাবাহিক এ উপন্যাসের আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন