অস্ট্রেলিয়ায় ডিএমসি অ্যালামনাইয়ের পুনর্মিলনী
অস্ট্রেলিয়ায় হয়ে গেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার পুনর্মিলনী। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ডিএমসির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথম পুনর্মিলনী। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায় দেড় শ ডিএমসিয়ান ও তাদের পরিবার পরিজনের প্রাণের মিলনমেলা গত শনিবার (১ ডিসেম্বর) বসেছিল নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনিতে।
কে-৬ থেকে কে-৬৭ পর্যন্ত ব্যাচের ডিএমসিয়ানরা একদিনের জন্য ফিরে গিয়েছিলেন অতীতের প্রাণবন্ত মধুর দিনগুলোতে। পরস্পরকে আলিঙ্গন করে আবেগ নিয়ে শুধালেন—‘বন্ধু কী খবর বল, কত দিন দেখা হয়নি...।’ বছরের পর বছর দেখা না হওয়ার দূরত্ব মিশে যায় এক মুহূর্তেই। সকল ডিএমসিয়ান যেন ফিরে যান তাদের অতীতের ক্যাম্পাস জীবনে যখন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হতো প্রতিদিন, আজকের দিনে করা স্মৃতিচারণের স্মৃতির জাল বোনা হতো প্রতিনিয়ত।
পুনর্মিলনীর আহ্বায়ক ডা. রাশিদ আহমেদ (কে-৩৬) ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মইনুল ইসলামের (কে-৪৩) ডাকে সাড়া নিয়ে কমিটির বাকি সদস্যরা খুব অল্পদিনের মধ্যেই চমৎকার এই অনুষ্ঠানটির রূপরেখা আঁকেন। সকালে ডার্লিং হারবারে ক্রুজে ঢেউয়ের মৃদুমন্দ দোলায় মেতে উঠেছিলেন প্রাক্তন ডিএমসিয়ানরা নাচ-গান আর পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণে। সন্ধ্যায় ব্যাঙ্কসটাউনে আয়োজন করা হয়েছিল বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের। এ উপলক্ষে স্যুভেনির কমিটি প্রকাশ করে চমৎকার একটি ম্যাগাজিন—ঐক্যতান। অতীত ও বর্তমানের মধুর স্মৃতি দিয়ে সাজানো ম্যাগাজিনের নামটি ডিএমসিয়ানদের প্রাণের কথাই যেন বলে। পরের বছর আবার দেখা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাত্রিবেলা ভাঙে মিলনমেলা।
পুনর্মিলনী কমিটির বাকি যেসব সদস্যের জন্য এই চমৎকার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে তারা হচ্ছেন, ডা. জেসি চৌধুরী (কে-৩৫), ডা. জেসমিন শফিক (কে-৩৫), ডা. মো. মীরজাহান মাজু (কে-৪০), ডা. মেহেদি ফারহান (কে-৪৩), ডা. জান্নাতুন নাঈম খুকু (কে-৪৫), ডা. ইকবাল হোসেইন (কে-৫২), ডা. রোকেয়া ফকির কেয়া (কে-৫৩), ডা. ফাইজুর রেজা ইমন (কে-৫৩), ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার (কে-৫৪), ডা. মুজাহিদ হাসান শোভন (কে-৫৬), ডা. ফয়সল চৌধুরী (কে-৫৬) ও ডা. গোলাম খুরশিদ তাপস (কে-৫৯)। এ ছাড়া বিভিন্ন সাব কমিটিতে আরও ছিলেন ডা. শাহনাজ পারভিন, ডা. খালেদুর রহমান ও ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি।