ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ-তুরস্ক বাণিজ্য নিয়ে সেমিনার

সেমিনারের আলোচকেরা
সেমিনারের আলোচকেরা

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ‘বাংলাদেশ-তুরস্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাস ও দেশটির অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক এলাকা ইকিতিলিস্ন শিল্পাঞ্চল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে গত বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) এ সেমিনার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে তুরস্কের ৫৪টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তারা অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি খাত থেকে শুরু করে আমদানি রপ্তানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছেন। উল্লেখ্য, ইকিতিলিস্ন তুরস্কের একটি পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল ও তুরস্ক তথা ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ শিল্পাঞ্চল। এখানে ছোট বড় ত্রিশ হাজার কোম্পানিতে প্রায় চার লাখ কর্মী কাজ করছেন।

সেমিনারে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী তাঁর উপস্থাপনায় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ও এর পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বাংলাদেশের ভৌগোলিক কৌশলগত গুরুত্ব, সাম্প্রতিক সময়ের আর্থসামাজিক অর্জন ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের স্বীকৃতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য দুই দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়ে বিদ্যমান বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশের সুযোগ নেবার জন্য তিনি তুর্কি ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।

অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

এ ছাড়া, ইস্তাম্বুলে নিয়োজিত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাঁর প্রারম্ভিক বক্তব্যে অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির সঙ্গে বিনিয়োগ-সুবিধা ও প্রণোদনার আলোকে বাংলাদেশের অগ্রগামিতার কথা তুলে ধরেন। তিনি দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার খাতগুলো চিহ্নিত করেন।

ইকিতিলিস্ন শিল্পাঞ্চলের সভাপতি হাসান তুঞ্জ শিল্পাঞ্চলের সক্ষমতা ও গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি শিগগিরই একটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দল সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন।

অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

এই সেমিনার বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল বাজার ও অর্থনীতির বিষয়ে তুরস্কের বেসরকারি খাতের মনোযোগ আকর্ষণে সহায়ক হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষভাবে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুজন তুর্কি ব্যবসায়ী তাদের অর্জিত ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সকলের সামনে তুলে ধরেন। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিষয়ে তিনটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

উল্লেখ্য, দূতাবাসের উদ্যোগে সামনের দিনগুলোতে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শীর্ষক আরও সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। যা দুই দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিকাশে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়। বিজ্ঞপ্তি