হৃদয়ে বাংলা

সপরিবারে লেখিকা
সপরিবারে লেখিকা

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে তুষারপাত ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সবার হৃদয়ে যেন এক টুকরো বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের প্লেটভিল (Platteville) শহরে প্রথমবারের মতো পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি দম্পতি মোহাম্মদ রাব্বানী ও ফারজানা মার্নির উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো এই বিশেষ দিনটি।

কেবল মাতৃভাষার টানে ও পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত করাই ছিল আয়োজনটির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিষ্ঠিত, একই শহর ও পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য আইওয়ার অনেক পরিবার এতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা

আট বছর বয়সী নুজায়রা রাব্বানীর গাওয়া দুই দেশের জাতীয় সংগীত ও ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু করা হয় মূল পর্ব। তার পরপরই ছিল ছোট ছোট শিশুদের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ। একুশের ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য সেখানে তুলে ধরে এগারো গ্রেডের ছাত্র সামির ও মাশরুর। অনুষ্ঠানটির মূল আকর্ষণ ছিল সম্মিলিত কণ্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি থেকে শুরু করে একুশের কবিতা, দেশাত্মবোধক গান ও জনপ্রিয় বাংলাদেশি ব্যান্ড সংগীত।

সবশেষে প্রদর্শিত হয় ভাষা আন্দোলনের ওপর আঁকা নুজায়রা, ফাহিম ও ফারহানের ছবি। ‘ভোজনরসিক বাংলাদেশি’ এই বিশেষণটি ধরে রাখতে যেন তৎপর ছিলেন সবাই। তাই তাঁরা অনুষ্ঠানে নিয়ে আসেন বিভিন্ন রকমের মিষ্টি, পিঠা-পুলি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ঐতিহ্য বহনকারী সব খাবার।