বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পথ ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশ

বক্তব্য দিচ্ছেন মিজানুর রহমান
বক্তব্য দিচ্ছেন মিজানুর রহমান

বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। এ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদত্ত ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির ডাক। ওই ভাষণের দিকনির্দেশনার পথ ধরেই নয় মাসের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে।

কানাডার রাজধানী অটোয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান এ কথা বলেন।

দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। এ উপলক্ষে হাইকমিশন মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে হাইকমিশনার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মিয়া মো. মাইনুল কবির ও কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শন করা হয়। পরে ছিল উন্মুক্ত আলোচনা। অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কাউন্সেলর (বাণিজ্যিক) মো. শাকিল মাহমুদ ও প্রথম সচিব অপর্ণা রাণী পালসহ হাইকমিশনের কর্মচারী ও অটোয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয়প্রধান ফারহানা আহমেদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে উপস্থিতি

আলোচনা পর্বে সময় টিভির সাংবাদিক শরীফ ইকবাল, আশ্রম পত্রিকার সম্পাদক কবির চৌধুরী, রাশেদা নেওয়াজ, বাকাওবের সভাপতি শাহ বাহাউদ্দিন শিশির, অধ্যাপক ওমর সেলিম শের ও মুক্তিযোদ্ধা শিকদার মতিয়ার রহমান বক্তব্য দেন। তাঁরা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এর ভূমিকা এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এই ভাষণের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বক্তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরা ও প্রবাসে সবার সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, ফারহানা আহমেদ চৌধুরী ও রাশেদা নেওয়াজ সমবেত কণ্ঠে একটি দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। বিজ্ঞপ্তি