বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গ্রিসে সংবর্ধনা

অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়
অনুষ্ঠানে কেক কাটা হয়

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গ্রিসের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে দেশটির রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাঁকজমক এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় একটি হোটেলে এ অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রিস-বাংলাদেশ সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আন্দ্রেয়াস রিজুলিস এমপি, দেশটির সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, গ্রিক উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিক্ষক, গবেষক, সংস্কৃতিকর্মী, বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

বক্তব্য দিচ্ছেন মো. জসীম উদ্দিন
বক্তব্য দিচ্ছেন মো. জসীম উদ্দিন

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অভ্যাগত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

তিনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে বিদ্যমান ইতিবাচক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অনুন্মেচিত সম্ভাবনা উন্মুক্ত করার ওপর জোর দেন। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ এবং মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সমর্থন প্রদানের জন্য রাষ্ট্রদূত গ্রিস ও অন্য বন্ধুপ্রতিম দেশকে ধন্যবাদ জানান। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকার ওপর জোর দেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

এরপর অতিথিদের নিয়ে জাতীয় দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিদেশি অতিথিদের বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ উপহারও প্রদান করা হয়। জাতীয় দিবসের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যবসা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে একটি বাংলাদেশ কর্নার স্থাপন করা হয়। কর্নারে বাংলাদেশি জামদানিসহ শাড়ির একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

এ ছাড়া বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত দ্রব্যের একটি আকর্ষণীয় প্রদর্শনী আয়োজন করে গ্রিসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি পাটজাত দ্রব্যকে অতিথিদের কাছে তুলে ধরা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিরা বাংলাদেশি পাটজাত দ্রব্যের সঙ্গে পরিচিত হয়ে এ ক্ষেত্রে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অর্জনকে তুলে ধরে ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষেবাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প সামগ্রী ও বাংলাদেশবিষয়ক বইয়ের একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।