মুজিবনগর সরকার ১৭ এপ্রিল প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়

মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভা
মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভা

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীদের শপথের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম সুসংগঠিত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ মুক্তিসংগ্রামে বিদেশি সমর্থন লাভে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে মুজিবনগর দিবসের আলোচনায় সমাপনী বক্তব্য এ কথা বলেন কনস্যুলেটের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল সামছুল আহসান। তিনি তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, যার ভিত্তিতে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়, তার কয়েকটি বিশেষ দিক তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন এ সরকার গঠনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী সমর্থন লাভ করে এবং বিপুল আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সামছুল আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুজিবনগর সরকারের সব কর্মকর্তাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। দেশের এই সম্মুখযাত্রায় প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে অবদান রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেট যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল বিকেলে কনস্যুলেট হলরুমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মিলানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।

মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভা
মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভা

পবিত্র কোরআন ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়। পরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কয়েকজন অংশ নেন। তাঁরা ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথ গ্রহণকারী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সেই সরকারের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি