টরন্টোয় বাংলাদেশি ফার্মেসি স্নাতকধারীদের মিলনমেলা

টরন্টোয় বাংলাদেশি ফার্মেসি স্নাতকধারীদের মিলনমেলা
টরন্টোয় বাংলাদেশি ফার্মেসি স্নাতকধারীদের মিলনমেলা

কানাডার টরন্টোয় হয়ে গেল দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি ফার্মেসি স্নাতকধারীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ফার্মাসিস্টস ইন কানাডার (এবপিক) চতুর্থ বার্ষিক সাধারণ সভা ও বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদ্‌যাপন। টরন্টোর রয়্যাল কানাডিয়ন লিজন হলে ২০ এপ্রিল এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসরত প্রায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফার্মাসিস্ট তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফখরুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানের কার্যসূচি শুরু হয় অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মফিজুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে। এরপর সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আহমেদ আবদুল্লাহ, খন্দকার আলমগীর হোসেন ও শহীদ খন্দকার বাংলাদেশি ফার্মাসিস্টদের সাফল্য ও কর্মতৎপরতার একটি বিশদ বর্ণনা তুলে ধরেন। তাঁদের বক্তব্যে জানা যায়, বর্তমানে প্রায় এক শ কানাডীয় লাইসেন্সধারী বাংলাদেশি ফার্মাসিস্ট বিভিন্ন ফার্মেসিতে কর্মরত রয়েছেন এবং শতাধিক বাংলাদেশি ফার্মাসিস্ট অ্যাপোটেক্স, টেভা, জনসসনস, টারো, ফার্মা সায়েন্সের মতো বড় বড় ওষুধ কোম্পানির প্রোডাকশন, রেগুলেটরি, আরঅ্যান্ডডি ও সাপ্লাই চেইনে কর্মরত রয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ২০ জন ফার্মাসিস্ট চেইন ফার্মেসি, মেডিকেল ডিভাইস, ফার্মা রিয়েজেন্ট ও ফার্মা আরঅ্যান্ডডি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আমিন বিগত বছরের কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। কোষাধ্যক্ষ জাহান মোহাম্মদ আরশাদ আর্থিক বিবরণীর একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে নতুন আগত ইমিগ্রান্ট ফার্মাসিস্টদের বরণ এবং বিগত বছরে যাঁরা কর্মক্ষেত্রে সফল হয়েছেন, তাঁদের ‘এবপিক অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। নিবন্ধনকৃত ফার্মাসিস্ট (Rph) হিসেবে পেশাগত স্বীকৃতি অর্জনের জন্য ১৩ জন, কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির জন্য সাতজন এবং স্কলারশিপ ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য তিনজন সংবর্ধনা লাভ করেন।

এবপিকের বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো যুক্ত হলো বর্ষবরণ ও পিঠা উৎসব। এ উৎসব এবপিক পরিবারের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলাদেশি ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে।

এ উপলক্ষে একটি সুদৃশ্য স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। সাইফুর রহমানের সম্পাদনায় প্রকাশিত এ প্রকাশনায় ওন্টারিওর প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড, মেয়র জন টোরি, নাথানিয়েল স্মিথ এমপি ও ডলি বেগম এমপিপি শুভেচ্ছাবাণী প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‍্যাফল ড্রর আয়োজন করা হয়। এজিএম ও পিঠা উৎসবের সঞ্চালনায় ছিলেন শফিউল সাদী ও তামান্না রশীদ। পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি কে এম মাহবুবুর রশিদ। অভ্যর্থনায় নাবিলা আকতার ও শারমিন জাফর। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কানন বড়ুয়া, অমল পাল, শাইখুল মিল্লাত, আনোয়ারুল আজিম, মাসুম হোসেন ও আখতার হোসেন।