বৈশাখী রঙে স্যানডিয়াগো

বৈশাখী রঙে স্যানডিয়াগো
বৈশাখী রঙে স্যানডিয়াগো

প্রতিবছর খুব হইচই আর বর্ণাঢ্য রঙে বৈশাখ আসে আমেরিকার স্যানডিয়াগো শহরে। পয়লা বৈশাখের তিন মাস আগে থেকেই শুরু হয় তোড়জোড়। এখানকার বাংলাদেশিরা সবাই নিজ নিজ ভুবনে অত্যন্ত সফল। যে যেখানেই কাজ করেন, শীর্ষে থাকেন সুনামসহ। নতুন যাঁরা আসেন তাঁরাও যেন তারার মেলায় শুকতারা।

যাঁরা সাজান স্টেজকে, তাঁরা চারুকলার ছাত্রী বা আর্কিটেক্ট। কয়েক সপ্তাহ গাড়ি রাখতে পারেন না গ্যারেজে বৈশাখী ব্যানার বানানোর জন্য।

বৈশাখী রঙে স্যানডিয়াগো
বৈশাখী রঙে স্যানডিয়াগো

সময় বাঁচিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের রিহার্সাল করানো হয় শুক্রবার রাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত। ফলাফল এক ঘণ্টার বাচ্চাদের সেগমেন্ট। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল বাহবা দিতে বসে যান যেন। বাচ্চারা নাচে, গান গায়, নাটক করে ‘তাসের দেশ’-এর মতো কঠিন কিছু ফুটিয়ে তোলে। এভাবেই আমাদের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি বাচ্চাদের আজীবন বন্ধুত্ব হয়ে আসছে বহু বছর ধরে।

বৈশাখী রঙে স্যানডিয়াগো
বৈশাখী রঙে স্যানডিয়াগো

বড়দের অনুষ্ঠান হয় রমনা বটমূল আর ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের আদলে। রবীন্দ্রসংগীত আর নজরুলের গানের সঙ্গে নাচ, তারপর আধুনিক গান আর ব্যান্ডের গান। ডিনার আর নামাজের পর নাটক। এখানকার লোকাল লেখকের লেখা। এত প্রাণ সে নাটকে। এ বছর সুনীলের নায়িকা নীরা, যে কিনা যেকোনো সফল অনুষ্ঠানের প্রাণ, অ্যাপলের চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছে স্যানহোসে। আমাদের বাচ্চারা খুব মিস করেছে তাদের আন্টিকে। আসলে প্রতিভা তো সবারই আছে, কিন্তু কারও কারও চলে যাওয়া রয়ে যায় একটা দীর্ঘশ্বাস হয়ে...তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম।

সবাইকে বৈশাখী শুভেচ্ছা।