সিডনিতে চিত্রপ্রদর্শনীতে রোকেয়া সুলতানার চিত্রকর্ম

নিজের চিত্রকর্মের সামনে শিল্পী রোকেয়া সুলতানা ও তাঁর মেয়ে লরা
নিজের চিত্রকর্মের সামনে শিল্পী রোকেয়া সুলতানা ও তাঁর মেয়ে লরা

মাতৃত্বের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিক প্রত্যাশা তুলে ধরতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে শুরু হয়েছে ‘এভরি ডে ম্যাডোনা’ শীর্ষক এক চিত্রপ্রদর্শনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক ও বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানাসহ ১০ জন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম এই চিত্রপ্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে। তাঁদের আঁকা ছবিতে ‘ম্যাডোনা অ্যান্ড চাইল্ড’ চিত্রকর্মের মতো বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মায়েদের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে পাঁচটি চিত্রকর্ম রয়েছে রোকেয়া সুলতানার।

দেড় মাসব্যাপী এই চিত্রপ্রদর্শনী ১৮ মে শনিবার সিডনির ক্যাসুলা পাওয়ার হাউস আর্ট সেন্টারে শুরু হয়েছে। প্রদর্শনী উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত হয়ে সিডনিতে আসেন রোকেয়া সুলতানা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লিভারপুল সিটি কাউন্সিলের মেয়র ওয়েন্ডি ওয়েলার ও আর্ট সেন্টারের পরিচালক ক্রেইগ ডোনারস্কি প্রমুখ।

রোকেয়া সুলতানার চিত্রকর্ম সবাইকে অভিভূত করেছে। তাঁর আঁকা ছবিগুলোতে সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি কর্মজীবী মায়েদের ছবি উঠে এসেছে। একজন মায়ের সন্তানকে লালন করার অনুভূতি অপূর্ব চিত্রের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর আঁকা ছবিগুলোকে ‘কথা বলা ছবি’ হিসেবেও প্রশংসা করেন দর্শকের অনেকে।

রোকেয়া সুলতানা মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, অস্ট্রেলিয়ায় চিত্রকর্ম প্রদর্শনী নিয়ে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা চিত্রশিল্পকে খুবই উপভোগ করে। তারা রং দেখতে ভালোবাসে, রঙের শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলতে ভালোবাসে। এদিকটা আমাকে আবারও মুগ্ধ করেছে। অনুষ্ঠানে অনেক বাংলাদেশি দর্শকেরাও এসেছিলেন। বাঙালি হিসেবে দেশের শিল্পকে অস্ট্রেলিয়ার মূল স্রোতে তুলে ধরতে পারার আনন্দটাও শব্দহীন।

সব বয়সীদের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। চিত্রকর্ম দেখা যাবে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত।