বঙ্গবন্ধুর জন্যই বাঙালি পেয়েছে দুর্লভ সম্মান
যথাযথ মর্যাদা, শোক ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে ফ্রান্সের বাংলাদেশ দূতাবাস। গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের একটি বড় অংশজুড়ে ছিল অতিথিদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা।
আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রাম এবং বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও অবদানের কথা তুলে ধরেন।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জন করেছে। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ও বাঙালি জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর জন্যই একটি গর্বিত জাতি স্বতন্ত্র পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দুর্লভ সম্মান বাঙালি পেয়েছে। এর জন্য সমগ্র জাতি তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ-চিরঋণী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল জাতির পিতার আজীবনের লালিত স্বপ্ন।
তিনি জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রধানমন্ত্রীর সংকল্প সমগ্র দেশবাসীকে উজ্জীবিত ও দেশের উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করায় অনুপ্রাণিত করেছে।
অন্য আলোচকেরা বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও জনমানুষের জন্য ত্যাগ ও সংগ্রামের চেতনা বুকে ধারণ করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তাঁরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও গভীর শোক প্রকাশ করেন।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
প্রথমে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। এরপর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানের এ পর্বে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ শাহাদতবরণকারী সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। বিজ্ঞপ্তি