কেবল বিনিয়োগেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসবে না

বৈঠকে বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান
বৈঠকে বক্তব্য দিচ্ছেন মো. শামীম আহসান

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য কেবল বিনিয়োগ করলেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসবে না; বরং সেই বিনিয়োগ সার্থক হবে যদি তাতে অর্থবহ মাত্রা যোগ করা যায়। অন্যদিকে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণকালে কার্যকর বিনিয়োগ সহযোগিতা ও সহায়তাই হবে সেসব দেশের এসডিজি অর্জনের অন্যতম পূর্বশর্ত।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলন (আঙ্কটাড) কর্তৃক আয়োজিত ‘এসডিজি বাস্তবায়নে বিনিয়োগ’ শীর্ষক রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তরে স্থায়ী প্রতিনিধি ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে স্থানীয় অগ্রাধিকার, প্রয়োজন ও পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) সহজতর করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এফডিআই কার্যকর করার জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের যথাযথ সমর্থন কামনা করেন।

শামীম আহসান এসডিজি বাস্তবায়নে গৃহীত বাংলাদেশ সরকারের বিশদ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে উন্নয়ন অংশীদারদের অর্থপূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

বিশ্ব বিনিয়োগ ফোরাম ২০১৮-এর ধারাবাহিকতায় আঙ্কটাড কর্তৃক আয়োজিত এবারের গোলটেবিল বৈঠকে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বিনিয়োগের বর্তমান পরিস্থিতি, প্রবণতা, অগ্রগতি ও সম্ভাব্য সমাধানগুলো আলোচনায় স্থান পায়।

এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন–সম্পর্কিত অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও সূচকসমূহ বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের কার্যকর অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ সময় সবাইই একমত পোষণ করেন—বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী এসডিজি বাস্তবায়নের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে জেনেভা এ ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।

জেনেভায় নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসমূহ ও শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে যোগ দেন। বিজ্ঞপ্তি