সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে পরিকল্পনা করেছে

সুইস সৈন্যরা সাইকেলচালককে জানাচ্ছেন, জেনেভা থোনেক্সের কাছে সুইস-ফরাসি সীমান্ত করোন মহামারির কারণে বন্ধ রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
সুইস সৈন্যরা সাইকেলচালককে জানাচ্ছেন, জেনেভা থোনেক্সের কাছে সুইস-ফরাসি সীমান্ত করোন মহামারির কারণে বন্ধ রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল কাউন্সিল ৬ জুলাইয়ের পর সব ভ্রমণ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং শেনজেন অঞ্চলজুড়ে অবাধ চলাচলের ঘোষণা দিয়েছে। জুনের প্রথম দিক থেকে ধাপে ধাপে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

শেনজেন অঞ্চলটি ২৬টি দেশ নিয়ে গঠিত। ২২টি ইইউ দেশ আর আইসল্যান্ড, নরওয়ে, লিচটেনস্টাইন ও সুইজারল্যান্ড এর অন্তর্ভুক্ত।

সুইস সরকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ জুন থেকে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হবে।

শান্ত জেনেভা লেকের ওপারে ফ্রান্স। ছবি: লেখক
শান্ত জেনেভা লেকের ওপারে ফ্রান্স। ছবি: লেখক

সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৫ জুন নিজ দেশের মধ্যে সব ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিতে মে মাসের শুরুতে সম্মত হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে চারটি দেশে ভাইরাসের ইতিবাচক প্রবণতার আলোকে সরকার এই পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে ইতালি সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা ৩ জুন থেকে প্রতিবেশীদের সীমান্ত খুলে দেবে।

সুইজারল্যান্ড ইতালিকে জানিয়েছে, নির্ধারিত তারিখে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হবে। সুইস-ইতালি সীমান্তবর্তী জেলা তিচিনোতে (Ticino) ভাইরাসের প্রকোপ বেশি। ইতালির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সুইস সরকার।

এ ছাড়া ৮ জুন থেকে সুইস ক্যান্টনগুলো ইইউ/ ইএফটিএ সদস্য দেশ এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর শ্রমিকদের জন্য আবাস এবং আন্তসীমান্ত যাত্রী পারমিটের আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। শিক্ষার্থীরা তাঁদের জাতীয়তানির্বিশেষে পড়াশোনার জন্য সুইজারল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

জেনেভা লেক। ছবি: লেখক
জেনেভা লেক। ছবি: লেখক

উচ্চ ঝুঁকির দেশগুলো থেকে আগত ব্যক্তিদের জন্য তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং একটি স্বাস্থ্য প্রশ্নাবলিসহ সীমান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। প্রয়োজনে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতে পারে।

সুইজারল্যান্ডে ৩০ হাজার ৮২৮ জন ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত রোগীর মধ্যে ২৮ হাজার ৪০০ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৫৭।