ইরানের নওরোজ উৎসবে বাংলাদেশ

ইরানি নববর্ষে হাফত সিন টেবিলে বাংলাদেশের পতাকা
ইরানি নববর্ষে হাফত সিন টেবিলে বাংলাদেশের পতাকা

ইরানের সর্ববৃহৎ উৎসব নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে ১৫ দিনের দীর্ঘ ছুটিতে তেহরানের রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি সুনসান নীরব হয়ে গেছে। লোকজন একেবারে বাংলাদেশের ঈদ উৎসবে ঢাকার মতো তেহরান ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। সন্ধ্যা হলেই তেহরানের রাস্তা-ঘাটগুলোতে নেমে আসে নিস্তব্ধতা। ২০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নওরোজ বা নববর্ষ উৎসবের তি-চার দিন আগে থেকেই তেহরানে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রদেশের মানুষ, ছাত্রাবাসে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। তেহরানে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের কালচারাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আমাকে তারবিয়্যাত মোদাররেস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নওরোজের বিশাল আয়োজনের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত ১৫৩ জন বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল সংগঠক হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করায় একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে ভীষণ গর্বিত হয়েছি। এটি আমার দেশের জন্য পরম পাওয়া। নওরোজের মূল আকর্ষণ হাফত সিন টেবিলের জাঁকজমক আয়োজনের সঙ্গে ছিল আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেন, লেবানন, ভারত, পাকিস্তান, সেনেগাল, ইরানি ও বাংলাদেশি খাবারের হরেকরকম আয়োজন। গর্বের বিষয় হচ্ছে এবার হাফত সিনের টেবিলে ইরানের জাতীয় পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাও ঠাঁই করে নিয়েছিল।

তারবিয়্যাত মোদাররেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নওরোজের আয়োজনে বাংলাদেশি খাবারের সমাহার
তারবিয়্যাত মোদাররেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নওরোজের আয়োজনে বাংলাদেশি খাবারের সমাহার

উল্লেখ্য, নওরোজ উৎসবটি সর্ব প্রথম খ্রিষ্টপূর্ব সময়ে উত্তর ইরান, উত্তর পূর্বে অবস্থানকারী আর্য জাতি ও পূর্ব ইরানে অবস্থানকারী এই অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন অধিবাসীদের দ্বারা প্রচলনের খবর পাওয়া যায়। বিশেষ করে ইরানিয়ান, খাওয়ারেযমি, সোগদি ও ইন্দো-ইউরোপীয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত ছিল। প্রাচীন ইরানে গ্রীষ্মকালের প্রথম দিনে নওরোজ উৎসব শুরু হতো। আবু রায়হান আল বেরুনি তাঁর বিখ্যাত বই অসারুল বাকিয়্যাহ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। বিখ্যাত পারস্য লেখক তাকি যাদেহ মাদ রাজত্বকালে (৭০৮ খ্রিষ্টপূর্ব-৫৫০-৫২৯ খ্রিষ্টপূর্ব) বাবেল বা বর্তমান ইরাক, তুরস্ক, আজারবাইজান, আফগানিস্তান ও বর্তমান ইরানসহ এতদঞ্চলে তিনটি ঈদ পালনের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। ঈদে নওসারদ (নওরোজ উৎসব), তার ইয়াসকাই (তিরগান বা গ্রীষ্মকালীন উৎসব) ও মেহরানকাই (হেমন্তকালীন উৎসব)। তবে নওরোজ উৎসবটি অভিজাত, জাঁকজমকপূর্ণ ও চাকচিক্যময় আকার ধারণ করে হাখামানশি রাজত্বকালে (৫৫০ খ্রিষ্টপূর্ব-৩৩০-৩২৭ খ্রিষ্টপূর্ব)।
১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকারিভাবে বছরের প্রথম দিন বসন্ত ঋতু দিয়ে শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। মাসগুলোকে প্রাচীন আমলের আদলেই স্থির করে দেওয়া হয়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাস ৩১ দিনে, মাঝের পাঁচ মাস ৩০ দিনে ও সর্বশেষ মাস ২৯ দিনে স্থির করে দেওয়া হয়েছে।
নববর্ষকে কেন্দ্র করে ইরানে বেশ কিছু উৎসব ও রীতিনীতি প্রচলিত রয়েছে।

হাফত সিন বা শিন
অসংখ্য ঐতিহাসিক উৎস থেকে জানা যায় নওরোজের মূল আকর্ষণ হাফত সিন বা সাতটি জিনিস, যেগুলোর প্রথম অক্ষর ফারসি অক্ষর সিন (س) দ্বারা গঠিত, এ রকম একটি সুসজ্জিত টেবিলকে হাফত সিন (س) বলা হয়। নওরোজ শুরুর দিন কয়েক দিন আগে থেকে ইরানের পথে-ঘাটে বেরোলেই চোখে পড়বে হাফত সিনের যাবতীয় জিনিসপত্র বিক্রয়ের দৃশ্য। নওরোজকালীন সময়ে এটি প্রায় প্রতিটি বাড়ির অভ্যর্থনা কক্ষ বা অফিস-আদালতে অপরিহার্য একটি অংশ। এটি ইসলাম-পূর্ব সময়ে হাফত শিন (ش) নামে পরিচিত ছিল।

বাংলাদেশের খিচুড়ির স্বাদে সিরিয়ান খাবার কাবছে
বাংলাদেশের খিচুড়ির স্বাদে সিরিয়ান খাবার কাবছে

হাফত শিন কি ছিল?
শাম (মোমবাতি বা প্রদীপ), শারাব (মদ), শিরিনি (মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য), শাহ্দ (মধু), শামশাদ (বৃক্ষ বিশেষ, ইড়ি-উৎসব), শারবাত (সরবত) ও শাকায়েক (আফিম গাছের মতো দেখতে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকৃতির লাল রঙের টিউলিপ জাতীয় ফুল গাছ বিশেষ (Corn-poopy) অথবা শাখে নাবাত (ইক্ষু)। ইসলাম-পূর্ব সময়ে নওরোজ বা নববর্ষের টেবিলে সজ্জিতকরণে এগুলো ছিল অপরিহার্য উপাদান।
আবার কেউ কেউ ইসলাম-পূর্ব ইরানের হাফত চিন-এর কথাও উল্লেখ করেছেন। যারতুস্তিয় ধর্মাবলম্বীগণ এ বিষয়ে বলেন হাখামানশি যুগে নওরোজের প্রারম্ভে সাতটি সিরামিকের পাত্রে খাদ্য সাজিয়ে রাখা হতো। যেগুলোকে হাফত চিন বা হাফত চিদানি বা সাতরকম বস্তু দিয়ে সাজানো বলা হতো।
সাসানি যুগে (রাজত্বকাল ২২৪-৬৪২ খ্রিষ্টাব্দ) হাফত শিন মানুষের মধ্যে প্রচলিত আকারে রূপান্তর হলো। শামশাদ অবশিষ্ট হাফত শিনের সঙ্গে সবজি ও চিরন্তনতার সাক্ষ্য হিসেবে স্থান করে নিল। তবে পারস্যে সাসানিয়ান সাম্রাজ্য পতনের মধ্য দিয়ে ইসলাম আগমন করার পর লোকজন চেষ্টা করলেন প্রাচীন রীতিনীতিগুলোকে সংরক্ষণ করবেন। ফলে যেহেতু ইসলামে শরাব বা মদ হারাম তাই শরাবের স্থলে সেরকে নির্বাচিত করলেন। আর এভাবেই ধীরে ধীরে শিন দ্বারা লিখিত ও সজ্জিত সাতটি বস্তুর বদলে সিন দ্বারা প্রচলিত সাতটি বস্তু নির্বাচন করলেন।
তবে ভিন্ন মতও কিন্তু রয়েছে। সাসানি রাজত্বকালে চীন দেশ থেকে দারুণ সব আকর্ষণীয় ও মূল্যবান তৈজসপত্র আমদানি হতো। এগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান জিনিস ছিল চিনের তৈরি পাত্র যেটা পরবর্তীতে চীনা বা চিনি নামে পরিচিত হয়েছে। এগুলোর আকৃতি ছিল ট্রের মতো। ফারসিতে ট্রেকে সিনি বলা হয়। ভিন্ন মতাবলম্বীদের অভিমত হচ্ছে হাফত সিনি বা সাত ট্রে থেকেই হাফত সিনের উৎপত্তি।
বর্তমান হাফত সিনের মূল উপাদ্য হচ্ছে সিব (আপেল), সেরকে (সিরকা), সামানু (অঙ্কুরিত গম, বালি বা অন্যান্য শস্যদানা আর আটা দিয়ে তৈরি মিষ্টান্ন বা হালুয়া বিশেষ), সোমাক (মধ্যমাকারের গাছ বিশেষ যার ফল দেখতে মসুরের ডালের মতো, তবে সামান্য বড় ও টক), সির (রসুন), সেঞ্জেদ (দেখতে বরইয়ের মতো ফল), সাবযেহ (সবজি)। সেক্কে (ধাতব কয়েন) ও সঙ্গে একটি পবিত্র কোরআন। এগুলোর প্রত্যেকটির অভ্যন্তরে এক একটি পারিভাষিক অর্থ বিরাজমান রয়েছে, যেমন পরিপূর্ণ জীবন, সুস্থতা, বরকত, আরোগ্য লাভ ইত্যাদির প্রতীকী চিত্র। এ ছাড়া ডিম, মাছের উপস্থিতিও হাফত সিনে দেখা যায়।

নওরোজের উৎ​সবে বিদেশি শিক্ষার্থীরা
নওরোজের উৎ​সবে বিদেশি শিক্ষার্থীরা

চাহার শাম্বে সূরি
চাহার শাম্বে সূরি বা অগ্নি প্রজ্বলন উৎসব ইরানের নওরোজকে স্বাগত জানানোর একটি অন্যতম উৎসব। এটি ইরানি নববর্ষ শুরুর পূর্বের মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হয় সূরি উৎসব। কোনো কোনো গবেষকের মতে প্রাচীন ইরানে বর্ষ রূপান্তর হতো মঙ্গলবার। দিনের অর্ধেক পুরোনো বছর এবং বাকি অর্ধেক নতুন বছরের অংশ হিসেবে পরিগণিত হতো। ওই সময়ে প্রচলিত সাল বর্তমানের গ্রেগরিয়ান বর্ষের অনুরূপ দিনের সূচনালগ্ন হিসেবে অর্ধ রাত্রি থেকে শুরু হতো, ফলে পরদিনের মঙ্গলবারকে নওরোজ হিসেবে অভিহিত করা হতো এবং ওই রাতে অগ্নি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে উৎসব পালন করা হতো। ওই সময় থেকে মঙ্গলবার বিকেলকে সূরি উৎসব নামকরণ করা হয়। ফারসি সাহিত্যে প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী আগুন হচ্ছে ঔজ্জ্বল্য, পবিত্রতা, আনন্দ ও উৎফুল্ল এবং জীবন ও সুস্থতার প্রতীক। নওরোজ উৎসব পূর্ব অগ্নি প্রজ্বলন প্রাচীন ইরানিদের একটি অন্যতম একটি রীতিনীতি ছিল। প্রাচীন ইরানের জনগণ চাহার শাম্বে সূরিতে হলুদাভ বিবর্ণতা, অপবিত্রতা, নোংরা, দূষিত ও যাবতীয় রোগ-শোককে অগ্নিতে বিসর্জন দেন। ফলশ্রুতিতে রক্তিমতা, প্রফুল্লতা, বর্ণিলতা, সুস্থতা ও কর্মনিষ্ঠতা অগ্নি থেকে গ্রহণ করেন। আনন্দদায়ক এই অগ্নি উৎসবে সকল অংশগ্রহণকারীর চেহারাতেই মুচকি হাসি দেখা যায়। ফেশফেশে, নরাঞ্জাকে দাস্তি, তারাক্কে, পচে খিযাক ও কুযে হায়ে হাফত রাঙ-এর মতো রংবেরঙের বিস্ফোরকদ্রব্য ও আতশবাজি এবং শত শত ফানুশ রাতের ইরানকে আলোকিত করে এ রাত্রি। কমসংখ্যক লোকই দেখা যায় যে চাহার শাম্বে সূরি উৎসবে অংশগ্রহণ করেন অথচ হাস্যমুখ নয়! এবারের চাহার শাম্বে সূরিতে আমরা বিদেশি বন্ধুরাও রংবেরঙের আতশবাজি নিয়ে উৎসবে মেতেছিলাম।

ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত ইরানি নববর্ষ হাফত সিন
ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং ইরানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত ইরানি নববর্ষ হাফত সিন

হাজি ফিরুজ ও আমু নওরোজ
নববর্ষ শুরুর ১৫ দিন আগে থেকেই হাজি ফিরুজ নামক এক ব্যক্তি অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে নতুন দিনের জয়গান গায়। পরনে থাকে লাল জামা ও লাল টুপি এবং মুখমণ্ডল কৃষ্ণকায়! হাজি ফিরুজ হচ্ছেন আনন্দ, উৎসব ও নতুনের আগমনী প্রতীক! হাজি ফিরুজের পাশাপাশি আমু নওরোজ বা নববর্ষ চাচাও সমান জনপ্রিয়। আমু নওরোজ ঈদের রাতগুলোতে বাচ্চাদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন। আমু নওরোজের পোশাকের রং হচ্ছে সাদার ওপরে বিভিন্ন কারুকার্য করা পোশাক, সাদা দাঁড়ি ও গোঁফ, মাথায় সাদা টুপি। আমু নওরোজের উৎস সন্ধানে দেখা যায় চমৎকার এক প্রেমকাহিনি। আমু নওরোজ এখনো তার প্রেমিকার অপেক্ষায় আছে এবং সে বিশ্বাস করে তার প্রেমিকার সঙ্গেই তার বিয়ে হবে।

সিজদাহ বেদার
সিজদাহ বেদার বা রুযে তাবিয়াত বা প্রকৃতির দিন হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। এটির উৎসকাল পবিত্র যারতুস্তের আগমনেরও পূর্বে খ্রিষ্টপূর্ব ১৮০০ অব্দে। প্রাচীন ইরানে নওরোজ উৎসব পালনের পর ফারভারদিন মাসের ত্রয়োদশতম দিন (এ বছর দিনটি ১ এপ্রিল), যেটি বৃষ্টির সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। লোকজন এই দিনে মরুভূমি, উন্মুক্ত প্রান্তর, ঝরনার প্রান্ত, পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রে অবস্থান করেন এবং অত্যন্ত আনন্দ-উৎফুল্লতা এবং হর্ষধ্বনিতে মেতে উঠতেন। সঙ্গে বৃষ্টির জন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থনায় নত হতেন। আবার কোনো কোনো গবেষক ফারভারদিন মাসের ত্রয়োদশতম দিনকে বছরের প্রথম কৃষিকার্যের সূচনা দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বরাবরের মতো নওরোজ উৎসবেও বাংলাদেশের খাবারের প্রচুর বিদেশি ভোজন রসিক পাওয়া গেল। সবরুন আহমাদ ভাবি, মজিদা খাতুন সোহাগি ভাবি, নূরে জান্নাত লোপা ভাবি, সুলতানা ইয়াসমিন ভাবিদের তৈরি স্পঞ্জ রসগোল্লা, গোলাপজাম, গাজরের হালুয়া, শিঙাড়া নিমেষেই শেষ হয়ে যাওয়া এর প্রমাণ। এ ছাড়া বাংলাদেশের ভুনা খিচুড়ির স্বাদের সিরিয়ান খাবার কাবছে দারুণ মজাদার ছিল। আফগানিস্তানের হাফত মিভে বা সাত রকমের ফল দিয়ে বানানো খাবারটিও ছিল দারুণ স্বাদের! হাফত মিভের তৈরির প্রক্রিয়াটাও দারুণ! দুই-তিন দিন আগে থেকে বাংলাদেশের কাজির ভাতের মতো ফলগুলো একটি পাত্রে পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে পরে সেগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়। এ ছাড়া সেনেগালের সসলিকও মুখরোচক খাবারে হিসেবে জনপ্রিয় ছিল।
উল্লেখ্য, সিজদাহ বেদার পালনের মধ্য দিয়ে ইরানি জাতির সর্ববৃহৎ উৎসব নওরোজ উপলক্ষে দীর্ঘ ১৫ দিনের ছুটির অবসান ঘটে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে পিএইচডি গবেষক, শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়, তেহরান, ইরান। সাবেক সহসভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা, জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ। ইমেইল: [email protected] <mailto: [email protected]>